পাতা:ধর্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*8 ধৰ্ম্মযুদ্ধের বৃত্তান্ত । কেবল দ্বারের নিকটে ছিলেন, ইহঁরা নগরের চারিদিগ ঘেরিলেন। নরাত্মার লোকেরদের যে দিগে দৃষ্টি পড়িল সেই দিগেই কেবল সৈন্য । ঐ সৈন্যের প্রাচীরের নিকটে ক্ষুদু পৰ্ব্বতের মত মাটর দুই ঢিবি করিলেন। এক দিগের ঢিবির নাম অনুগ্রহ, অন্য দিগের ঢিবির নাম ন্যায়। তাহার কিঞ্চিৎ অন্তরেও মাটর কএক ক্ষুদ্রং ঢিবি করিলেন । তাহার এই ২ নাম, সপষ্টসত্যতা ও পাপহীন । নগরে পাতর ছুড়িবার অনেক ফিঙ্গ ঐ সকল ঢিবির উপর রাখা গেল। অনুগ্রহ পৰ্ব্বতের উপর চারিট ন্যায় পৰ্ব্বতের উপর চারিটা, ও উপযুক্ত অন্যং স্থানে আর কএকটা ফিঙ্গা রাখা গেল । কর্ণদ্বার ভঙ্গিবার নিমিত্তে ঐ দ্বারের নিকট শ্রবণ পৰ্ব্বতের উপর অতি বৃহৎ পাঁচ যন্ত রাখা গেল । নগর জয় করিবার জন্যে বহু সৈন্য, ও ভিত্তি ভাঙ্গিবার যন্ত, নিরাত্মার সাহস ও ফিঙ্গা, ও তাহ বসাইবার নিমিত্ত ক্ষুদ্র গেল } পৰ্ব্বত, ও অতিতীক্ষুং অস্ত্রশস্ত্র, ও পতাকা উড়ে, এই সকল দেখিয়া, নগরের লোকের নানা দূর্ভাবন ও চিন্তু করিতে লাগিল । ক্রমেং তাহারদের সাহস আরও কম পড়িল । পূৰ্ব্বে তাহারদের বোধ ছিল, আমরা উত্তমরূপে যুদ্ধ করিতে পারিব । কিন্তু এই সকল দেখিয়া, আমারদের কি হবে বলা যায় না, এইমত ভাবিতে লাগিল । অতি সাধু ইমানুএল রাজা উক্ত প্রকারে নগর বেষ্টন করিয়া অনুগ্রহ নামক যে পৰ্ব্বতে সোণার ফিঙ্গা বসান ছিল তাহার উপর শ্বেতবর্ণ ধ্বজ তুলিলেন । ইহার দুই অভিপ্রায়, ১ । নরাত্মার মন আমার প্রতি ফিরিলে আমি দয়া করিতে পারি ও চাহি, ইহা তাহারা জানিতে পায়। ২ । তাহারা যদি বিদ্রোহী হইয় থাকে তবে তাহারদিগকে নষ্ট করিলেও তাহারা অন্যায় বলিতে না পারে ।