পাতা:ধর্ম্মসাধন.djvu/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধন সঙ্কেত । ২১ এক এক উপায় প্রেরণ করেন, কিন্তু তৎপ্রতি আমাদিগের দৃষ্টি এবং যত্ন না থাকিলে তাহা হারাইয়া ফেলি। যখন কোন উপায় ভাববিহীন শুদ্ধ হইয়। যাইবে, তখন ঔদাস্য না করিয়! দুঃখিত হৃদয়ে চমকিয়া উঠিব এবং কষ্ট স্বীকার পূর্বক সাধন করিয়। আবার তাহী সরস করিব । - .. প্রা অনেকে কোন উপায় ধরিয়া সাধন করিতেছিলেন, কিছু দিন পরে নিরাশ হইয়া তাহ এককালে পরিত্যাগ করেন । কেন ? - উ । প্রাত্যহিক উপাসনা যাহ! ব্রাহ্মদিগের ধৰ্ম্মজীবনের অন্ন, ত, হাও এক এক সময় নীরস হইয়া যায়। আমরা দেখিতে পাই,ৰ্বাহার এই শুষ্কতার জন্য উপাসনার প্রতি ঔদাস্য করেন, ক্রমে তাহার নিরাশ হইয়৷ ইহা এককালে ছাড়িয়া দেন এবং ব্রাহ্মধৰ্ম্ম হইতেও ভ্ৰষ্ট হইয়া পড়েন । কিন্তু র্যাহার হাজার নীরস হউক ইহা ধরিয়া পড়িয়া থাকেন, তাহাদিগকে অধিককাল কষ্ট ভোগ কবিতে হয় না এবং তাহার এককালে উপাসনার ভাবশূন্য হইয় পড়েন না। ধরিয়া পড়িয়া থাকা একটা আশ্চৰ্য্য সঙ্কেত । ইহাদ্বারা সকল অভাব দূর হয় । প্র । ঈশ্বরের উপাসনা করিতে গিয়া সুখশান্তি না পাইলে তাহা পরিত্যাগ করা উচিত কি না ? উ। ঈশ্বরের উপাসনায় সুখশান্তি লাভ হয় বটে, কিন্তু সুখশাস্তির লোভে উপাসনা করিতে যাওয়া এবং সুখশান্তি । ন। পাইলে তাহ ছাড়া অতিশয় নীচতা । মাতৃহারা শিশু যেমন মাতাকে যতক্ষণ না পায়, ততক্ষণ ক্ৰন্দন করে, আমরা সেইরূপ যতক্ষণ ঈশ্বরকে না পাইব, ব্যাকুল হইয়। কঁাদিব।