었 ধৰ্ম্মসাধন । ‘সত্যং তুমি আছ, প্রথমেই এই বাক্য উচ্চারণ করিয়া । আমরা গুণ হইতে দূরে চলিলাম। যখনই সত্যং বলিব, হৃদয় অমনি বলিবে তুমি আছ—স্থায়ী জীবন্তভাবে আছ। তুমি কল্পনা নও, ছায়। নও, কিন্তু স্পষ্টরূপে জানিতেছি তুমি আছ। কিরূপ আছ ? জ্ঞানরূপে। মৃতবৎ অজ্ঞান নও, কিন্তু ‘জ্ঞানং জ্ঞানময়। যাহা অন্তরে ভাবি, যাহা বাহিরে বলি, সকলই তুমি জান। এটি জান, ওটি জান, সেটা জান না, তা নয়—আমরা । যে যখন যেখানে যা করি, যা ভাবি,—সকলই তুমি জানিতেছ। এইরূপ সৰ্ব্বসাক্ষী জ্ঞানস্বরূপ যে তুমি, তোমাকে নমস্কার করি। আরও অনন্তং তুমি একটা দেবতা ক্ষুদ্র নও, তুমি অনন্ত আকাশ পূর্ণ। জগতের বৃহৎ ও ক্ষুদ্র সকল বস্তুতে তোমার অনন্ত মহিমা । যে তুমি সকল ব্ৰহ্মাণ্ডের অধিপতি,সেই তুমি ক্ষুদ্র কীট আমাকেও দেখিতেছ। অনেকে তাহাকে নিকটে ছোট । সীমাবিশিষ্ট ভাবিয়া তাহার সত্তা দূরেতে ধারণা করিতে পারে না, এই জন্য র্তাহাকে মহান ভূমা বলিয়া জানা উচিত। তার পর আনন্দম্ অমৃতং শান্তং তুমি আনন্দস্বরূপ, অমৃত "ع سه স্বরূপ ও শান্তি স্বরূপ। ইহাদের অর্থের বিভিন্নতা আছে। কিন্তু আমরা একটা ধরিয়া সকল পাই—তুমি আনন্দস্বরূপ। তুমি সব জানিতেছ, সৰ্ব্বব্যাপী, অথচ আকাশের মত শুদ্ধ তা নয় ; কিন্তু তুমি আনন্দস্বরূপ, তোমার কাছে গেলে আনন্দ পাইব। অনেকে এরূপ না ভাবিয়া শুস্ক ভাবনা দ্বারা শুস্কহয় এবং চিরকালই শুষ্ক থাকে। তুমি আনন্দস্বরূপ। তোমার নামে আনন্দ, স্মরণে আনন্দ এবং তোমার কথায় আনন্দ । যে দুঃখী তোমার,
পাতা:ধর্ম্মসাধন.djvu/১২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।