পাতা:ধর্ম্মসাধন.djvu/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বাধীনতা ও প্রেম। రిక যদি বিশ্বাস করি আর উঠিবেন!—আর কখনই উঠিবে না, তাহা হইলে সৰ্ব্বনাশ । এই জন্য অনেক ব্রাহ্ম ভক্তিহীন হইয়া নিরাশ হন এবং অবশেষে নাস্তিক হন । যদি হৃদয়কে সরস রাখিতে চাও, অধ্যবসায় সহকারে অবিশ্রান্ত সাধন কর। । ভাট কেবল জোয়ার আসিবার প্রতীক্ষা করে জানিয়া আশার সহিত ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা কর । , 娜 প্র । ঈশ্বরকে সাক্ষাৎ উপলব্ধি না করিয়া প্রার্থন করিলে তাহ সফল হয় কি না ? উ। ঈশ্বরের উপাসনা দুই প্রকারে হইতে পারে—উদ্দেশে ও প্রত্যক্ষ ভাবে। ঈশ্বর আছেন, কিন্তু যেখানে থাকুন, যে ভাবে আমার কথা শুনুন কিছুই জানি না, তাহার নাম ধরিয়া আমার মনের ভাব ব্যক্ত করিলাম ইহা উদ্দেশে প্রার্থন । প্রত্যক্ষ উপাসনায় তিনি নয় ‘তুমি –তুমি এখানে আছ এই বলিয়া প্রার্থনা। ইহার মধ্যে কোনটা সফল হয় দেখা আবশুক । প্রার্থনার প্রকৃত অর্থ ঈশ্বরের দিকে মুখ ফিরান । প্রার্থনার উত্তর কি ? না তাহার জ্যোতি আত্মাতে পড়া । র্যাহার ঈশ্বরের পানে না তাকান, তাহাদের প্রার্থনা কিরূপে সফল হইবে ? ঈশ্বরের নিকটে বসিয়া ভিক্ষ চাহিতে হইবে । নিঃসন্দেহ বিশ্বাসের প্রার্থনা তিনি শ্রবণ করেন। নতুবা শূন্যের কাছে জানাইলে শূন্য যদি উত্তর দিতে পারে দিউক, তাহা ঈশ্বরের গ্রাহ হয় না । ঈশ্বরকে প্রত্যক্ষ করিবার ভিন্ন ভিন্ন পরিমাণ আছে, সামান্য দর্শন ও উজ্জল দর্শন দূরের আলোক ও নিকটের আলোক দেখার ন্যায় । যখন দূরস্থ ঈশ্বর নিকটস্থ হন, তখন নয়ন উজ্জ্বল ভাবে উহাকে দেখিয়া । Q