রিপুদমন ও চরিত্র সংশোধন । (రి প্র । আমি চেষ্টা করিব, কিন্তু তাহ সাধ্যানুসারে করিব दल यांश्न किं न ? - উ। আমাদিগের যাহা সাধ্য, তাহা করিলেই যথেষ্ট, তাহার অতিরিক্ত আর কিছু করিতে আমরা দায়ী নহি, ঈশ্বরও তাহার অধিক আমাদিগের নিকট চাহেন না । কিন্তু কতদূর আমদিগের সাধ্য, আমরা পূৰ্ব্ব হইতে তাহার সিদ্ধান্ত করিতে পারি না, যাহা কৰ্ত্তব্য বুঝিব—সরল ভাবে তাহার অনুসরণ করিয়া যতদূর যাইতে পারি, ততদূর আমাদিগের সাধ্য। সাধন नी করিলে কতদূর সাধ্য বা অসাধ্য বুঝিতে পারা যায় না। প্র। কিরূপ প্রণালী অবলম্বন করিলে চরিত্রগত দোষ ংশোধন হইতে পারে ? - উ। আমাদিগের চরিত্রগত দোষ সকল দুই শ্রেণীতে বিভাগ করা যায়—(১) জঘন্ত ও (২) সামান্ত । সাধনের সুবিধার নিমিত্ত এই দুই শ্রেণীর প্রধান পাপগুলি প্রথমে গ্রহণ করা যাইতেছে । - - (১) জঘন্ত পাপ ৫টী-কাম, ক্রোধ, মিথ্যা ও প্রবঞ্চনা, নিষ্ঠুরতা, এবং উপাসনাহীনতা । - -*. (২) সামান্ত পাপ ৫টী—অহঙ্কার, স্বার্থপরতা, পরনিন্দা, আলস্ত ও অকৃতজ্ঞ তা । আমরা প্রতিদিন এই সকল দোযে কতবার দোষী হই, তাহা জানিবার জন্ত প্রত্যেকের নিকট এক এক খানি ক্ষুদ্র স্মরণ পুস্তক রাখা আবশু্যক। ঐ পুস্তকে প্রত্যেক দোষের স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র চিহ্ন ব্যবহার করা যাইতে পারে এবং প্রতিদিন যে দোষে যতবার দোষী হওয়া যায়, তাহা চিহ্ন করিয়া রাখা কৰ্ত্তব্য।
পাতা:ধর্ম্মসাধন.djvu/১৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।