পাতা:ধর্ম্মসাধন.djvu/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রিপূদমন ও চরিত্র সংশোধন । 《어 উ। ইন্দ্রিয়প্রাবল্য প্রভৃতি যৌবনেই থাকে, পূৰ্ব্বে অামাদের ধারণ ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাইতেছে, যৌবনকালের ফল ৬০৭০ বৎসর বয়সেও ভোগ করিতে হয়। যৌবনে ইন্দ্রিয় দমন না করিলে বৃদ্ধকালেও তাহার দাসত্ব করিতে হইবে । রিপূদিগকে আধচাপ রাখিয়া দিলে চিরকাল অtধচাপ। ভাবে চলিবে । আমরা দেখিতেছি রিপুদমন সম্বন্ধে পরস্পরের প্রতি আমাদিগের অবিশ্বাস আছে। যতদিন এ অবিশ্বাস থাকিবে, ততদিন পরস্পরেরই অপকার। আমাদিগের মধ্যে ৫০টা মানুষ খুন কেহই করিতে পারে না, ইহা যেমন সাহসপূৰ্ব্বক বলা যায়, কেহ রিপু সেবা করিতে পারেন না, একথা ত তেমন বলা যায় না। আমরা পরস্পরের হাতে ৫টা টাকা গছাইয়া রাখিতে যেমন বিশ্বাস করি, কাহার নিকটে আপনদের ভগিনী ভাৰ্য্যাকে সেইরূপ অসঙ্কোচে রাখিয়া যথা ইচ্ছ। নিশ্চিন্ত হইয়া কি যাইতে পারি ? যে দিন এ বিশ্বাস হইবে, সে দিন পৃথিবী স্বৰ্গ হইবে। প্র । আমরা আত্মশাসনের জন্য কি রূপ উপায় অবলম্বন করিতে পারি ? উ। আত্মশাসনের জন্য উপাসনা সাধুসঙ্গ প্রভৃতি যে সকল উপায় আছে তাহা ত ধরিতে হইবে । তদ্ভিন্ন আত্মপরীক্ষার জন্য স্মরণ পুস্তকে পাপ চিহ্ন করিবার যে কথা হইয়াছে, তাহাই এখনকার বিশেষ উপায় । যে পাপপ্রবৃত্তি অধিক প্রবল দৃষ্ট হইবে, তৎশাসনের জন্ত আত্মস্বীকৃত কোন প্রকার দণ্ড স্বীকার করিলে অনেক উপকার হয়। যেমন কেহ একটা ক্রোধের কার্য্য করিয়া ফেলিলেন, তৎপরে ঠিক আহারের সময়