পাতা:ধর্ম্মসাধন.djvu/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্ৰহ ধৰ্ম্মসাধন । নির্দেশ করি, কিন্তু তিনি কি কেবল সাধারণ নিয়ম ধরিয়া কাৰ্য্য করেন ? তিনি কি প্রত্যেক সন্তানকে পৃথক পৃথক দেখিতেছেন না ? প্রত্যেকের বিশেষ বিশেষ প্রয়োজন ষtহাতে সিদ্ধ হয়, তাহার উপায় করিতে কি অক্ষম ? - এক মাতার যদি পাচ পুত্র থাকে আর তিনি পীড়িত পুত্রের জন্য ঔষধ প্রস্তুত করেন, বিদ্যার্থী পুত্রের জন্য সকাল সকাল অন্ন প্রস্তুত করেন, দূরদেশস্থ পুত্রদের নিকট পত্র বা লোক পাঠান, সকলের প্রতি র্তাহার সাধারণ করুণার অন্যথা নাই ; কিন্তু তাহ আবার কেমন বিশেষ বিশেষ ভাবে প্রকাশিত ! ঈশ্বরের করুণ র্তাহীর সন্তানগণের প্রতিও এইরূপ । তিনি সকলকে করুণ করিতেছেন, অথচ প্রত্যেকের যেমন অভাব তাহার উপযুক্ত করিয়া ইহা প্রেরণ করিতেছেন। প্র । সাধারণ ও বিশেষ করুণা আমার সম্বন্ধে যেমন, সেই রূপ জগৎ সম্বন্ধে আছে কি না ? উ। ঈশ্বরের কতকগুলি করুণার কার্য্য জগৎ সম্বন্ধে বিশেষ, কতকগুলি আমার সম্বন্ধে বিশেষ। খৃষ্ট, চৈতন্য কি নানক দ্বারা ধৰ্ম্ম সংস্থাপন জগৎ সম্বন্ধে ঈশ্বরের বিশেষ করুণ। কারণ । যে সময় জনসমাজ ঘোরতর অন্ধকারে আচ্ছন্ন ছিল, সে সময় এরূপ এক একটা আলোক বিধান হওয়াতেই জগতের বিশেষ । কল্যাণ হইয়াছে । কিন্তু নিজের সম্বন্ধে ঈশ্বরের বিশেষ করুণ। না দেখিলে তাহার প্রকৃত ভাব হৃদয়ঙ্গম হয় না । যে ব্রাহ্ম: সমাজের আলোকে আমার পূৰ্ব্বগত পাপজীবনের পরিবর্ত । হুইয়াছে, আমি তাহাকে বিশেষ করুণ বলিয়া স্বীকার করিব । কোন ব্রহ্মোৎসব দ্বারা যদি আমি নবজীবন লাভ করিয়া থাকি,