ধৰ্ম্মসাধন । هـ لا ډS، উ। প্রতীকীরক অপেক্ষ নিবারক ঔষধ সৰ্ব্বত্রই অধিক । কাৰ্য্যকর। প্রবল জ্বরের মুখে কোন ঔষধ খাটেন, কিন্তু জ্বর আসিবার পূৰ্ব্বে কুইনাইন খাইলে তাহার পথ রোধ করা যায়। তুর্ভিক্ষ হইলে অন্নের সংস্থান করা বড় কঠিন, কিন্তু অগ্ৰে যথেষ্ট শস্ত সংগ্ৰহ করিয়া রাখিলে আর ভাবনা থাকে না। এই জন্ত আমরা সাংসারিক লোকদিগকে দেখিতে পাই, প্রতিদিনের খাওয়া ছাড়া ভবিষ্যতের জন্ত কিছু কিছু সঞ্চয় করে । ধৰ্ম্ম বিষয়ে সময় সময় দুর্ভিক্ষ হইৰে জানিয়া আগে সম্বল করা আবখক। ভাল উপাসনা দ্বারা ভক্তি বিশ্বাস নির্ভর যাহাতে । অধিক উপার্জন করা যায়, এমত চেষ্টা চাই। “হে ঈশ্বর আমাকে উদ্ধার কর” এই বলিয়া উপাসনা শেষ করা, হয় অতি উন্নত, নয় অতি অধম সাধকের লক্ষণ । সাধারণতঃ যিনি ৫ পাচ মিনিট উপাসনা করেন, বিপদের দিনে তিনি এক মিনিটও স্থিরচিত্ত হইতে পারেন না। প্রতিদিন যিনি তুই ঘণ্টাকাল উপাসনা করিতে পারেন, বিপদের দিনে তাহার অনেকটা সম্বল হয় । আমরা ষত কঠোর ধৰ্ম্ম নিয়ম পালন করিতে পারিব, পরীক্ষার দিনে তত নির্ভয় হইব । আমরা উপাসনা যখন ভোগ করি, তখন সে ভোগের প্রতি দৃষ্টি না রাখিয়া যদি ভবিষ্যতের জন্য সম্বল অধিক করিতে সচেষ্ট হই, তাহা হইলে সহজে পতন হয় না । এখন আমরা যে অবস্থায় আছি, তাহাতে পুণ্যভক্তি সকলি পাই, কিন্তু সাধন অভাবে কিছুই রাখিতে পারি না । - o প্র । ধৰ্ম্মপথে আপনাকে রক্ষা করিবার জন্ত কি কি উপায় অবলম্বন করা যায় ?
পাতা:ধর্ম্মসাধন.djvu/১৯৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।