| 6 ধৰ্ম্মসাধন। অনিমেষ নয়নে তাহাকে দেখিতে থাকিবে । অতএব ব্ৰহ্মধ্যান ও ব্রহ্মোপাসনা সৰ্ব্বদাই তৃপ্তিকর সাধন। - যে ব্যক্তি এককালে ঈশ্বরবিস্মত এবং বিষয়সম্পূর্ণ আচ্ছন্ন, ঘড়ীর কাটা যেমন একটা দুইটা করিয়া নিয়মিত বাজে, তাহাকে জাগ্ৰত করিবার জন্য সেইরূপ নিয়মিত ঈশ্বর স্মরণ আবস্তক। ইহা তাহার পক্ষে প্রথমে রোগীর ঔষধ সেবনের ন্যায় নীরস ও তিক্ত বোধ হয় ; কিন্তু বিষয় বিকার দূর হইয়া আত্মা সুস্থত লাভ করিলে ঈশ্বর স্মরণ সহজ ও আনন্দকর /হয়। বিশ্বাসী সাধক ঈশ্বরকে সেইরূপ স্পষ্ট, উজ্জ্বল ও দৃঢ়রূপে দর্শন করেন,যেমন আমরা পরস্পরকে দর্শন করি। তিনি ঈশ্বরের সহিত কথাবাৰ্ত্ত কহেন এবং স্পষ্টরূপে র্তাহার আদেশ শুনিতে পান । পৈতা ফেলা, কি অমুক কাৰ্য্য ঈশ্বরাদেশ কি না, এরূপ : সংশয় হইলে ঈশ্বরাদেশ শোনা হয় নাই। র্তাহার আদেশ পাইলে তাহাতে তর্ক, যুক্তি, সন্দেহ কিছুই আসিতে পারে না। র্তাহার আদেশ বাক্য দ্বারা ব্যক্ত না হইলেও তাহ সহস্ৰ স্বর অপেক্ষ উচ্চ ও দৃঢ়। র্তাহার আদেশে কেবল কৰ্ত্তব্যজ্ঞান হয় না, কিন্তু কৰ্ত্তব্য সাধনের উপযুক্ত বলও আইসে। সৈনিক পুরুষ সেনাপতির আদেশ যখনি শ্রবণ করে, তৎক্ষণাৎ উৎসাহিত হইয় তাহ পালন করে। “যাও” এই একটা বাক্য যেমন তাহার কৰ্ণে প্রবেশ করে, অমনি তাহাকে বলপূৰ্ব্বক চালাইয়া দেয়,— যাইব, কি না যাইব, সে এরূপ ভাবিতে পারে না। ভক্তসাধক ঈশ্বরের আদেশ নিয়তই শ্রবণ করেন ও নিয়তই পালন করেন। নিম্নশ্রেণীস্থ সাধকদিগের জ্ঞানে বল নাই, তাহাদিগকে অনেক
পাতা:ধর্ম্মসাধন.djvu/২০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।