ধৰ্ম্মবন্ধুদিগের পরস্পর সম্বন্ধ। ১২৭ ' * প্র। যে ভ্রাতা বা ভগিনী আমাদিগের যে প্রকার শ্রদ্ধার পাত্র, তাহার প্রতি ঠিক সেইরূপ শ্রদ্ধা কি প্রকারে প্রদর্শন করা যায় ? ; s উ। আমরা আপনারা বুদ্ধি • বিবেচনা পূর্বক তুলাদণ্ডে পরিমাণ করিয়া কাহার প্রতি উপযুক্তরূপ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করিতে পারি না । ইহার একটা গুঢ় সঙ্কেত আছে। আমরা একদিকে যেমন ঈশ্বরের সহিত, অন্যদিকে র্তাহার পরিবারের অর্থাৎ মনুষ্যমণ্ডলীর সহিত সংযুক্ত। আত্ম প্রকৃতিস্থ থাকিলে যে । পরিমাণে ঈশ্বরে শ্রদ্ধা হইবে, তাহা ঠিক সেই পরিমাণে প্রত্যেক শ্রদ্ধেয় ব্যক্তির উপরে পড়িবে। ঈশ্বরকে আমরা শ্রদ্ধা করি কেন ? তিনি পূর্ণসত্য, পূর্ণপ্রেম ও পূর্ণপবিত্রতা, স্বয়ং আমাদের শ্রদ্ধা টানিয়া লন । আমরা যদি প্রকৃত অবস্থায় থাকি, তাহার সত্য, প্রেম, পবিত্রত যে মনুষ্যে যে পরিমাণে আছে, তিনি স্বভাবতঃ সেই পরিমাণে আমাদিগের শ্রদ্ধা আকর্ষণ করিয়া লন। একটা সুন্দর গোলাপ ফুল দেখিলে আমরা যুক্তি করিয়া তাহাকে ভালবাসি না, কিন্তু তাহার মোহিনী শক্তি আমাদিগের দৃষ্টিকে বিমোহিত করে । ঈশ্বরের সাধুত অল্প ব। অধিক পরিমাণে সকল সন্তানে আছে । স্বৰ্গরাজ্যের পরিবারের মধ্যে এমনি গুঢ় যোগ যে সেই পূর্ণ পবিত্রতার প্রতি সমুদয় শ্রদ্ধা ঢালিয়া দিলে, তাহা আপন আপনি প্রত্যেক শ্রদ্ধেয় বস্তুতে যথা পরিমাণে গিয়া পড়ে। একটা জমী ধদি উচু নীচু থাকে, তাহার উপরে জল ঢালিয়া দিলে জলের উপরিভাগ দেখ ঠিকু সমান, কিন্তু নীচে যেখানে ভূমির যত গভীরতা, সেখানে ঠিক্ তত পরিমাণে জল গিয়া পড়িবে। আমরা বিকৃত
পাতা:ধর্ম্মসাধন.djvu/২১১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।