১২৮ ধৰ্ম্মসাধন। । মনে লোককে শ্রদ্ধা করিতে যাই, তাই সাময়িক উত্তেজনার’ কাহাকেও স্বর্গে তুলি, কাহাকেও নরৱে ডুবাই। একবার যাহাকে মস্তকে রাখি, আবার তাহাকেই পদদ্বারা দলন করি । প্রকৃত শ্রদ্ধার এরূপ রীতি নহে। । প্র। প্রকৃতিস্থ থাকিয়া লোককে যথার্থ শ্রদ্ধা কিরূপে করা যায় ? * উ। উপাসনার সময় হৃদয়ের সমুদায় শ্রদ্ধা ঈশ্বরকে সমর্পণ করিতে শিক্ষা করা—প্রকৃত পবিত্রতার নিকটে সমুদয় শ্রদ্ধাকে বিক্রয় করা কৰ্ত্তব্য । ইহার সাধন হইলে হৃদয় প্রকৃতিস্থ হইবে । । লোককে শ্রদ্ধা করিবার সময় তাহাতে যেরূপ ঈশ্বরের ভাব, তৎপ্রতি সেইরূপ নিঃস্বার্থ প্রতি যাইবে এবং তাহাতে যে টুকু পশু ভাব, তৎপ্রতি ঘৃণা হইবে । বস্তুতঃ মানুষের দুই দিক দেখিতে হইবে, এক তিনি এতদূর সংসারাসক্ত হইতে পারেন, আবার এতদূর ঈশ্বরভক্ত। এই দুই ভাব দেখিয়া হৃদয় স্বভাবতঃ যে শ্রদ্ধা দান করে, তাহাই প্রকৃত । প্র। মত বিষয়ে পরস্পরের বিভিন্নতা সত্ত্বে পরস্পরকে । শ্রদ্ধ করা যায় কি না ? উ। যদি না যায়, তবে ব্রাহ্ম সমাজ চূর্ণ হইয়া যাইবে । এখন আমাদের মধ্যে এত বিবাদ বিসম্বাদ কেন ? এক দল বলেন অমুক লোক মহাপুরুষ, ঈশ্বরের বিশেষ করুণা মানেন না, তবে তিনি নাস্তিক পাযণ্ড । অন্যদল বলেন অমুক ব্রাহ্ম খোল বাজাইয়া কীৰ্ত্তন করে, তবে সে ভণ্ড, কপট, দুশ্চরিত্র, শ্রদ্ধ করা যায় এমত কোন গুণ তাহাতে থাকিতে পারে না । ঈশ্বরের প্রতি দৃষ্টি রাখিয়া পরস্পরকে চিনিতে পারিলে এরূপ
পাতা:ধর্ম্মসাধন.djvu/২১২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।