ধৰ্ম্মসাধন । &> যিনি যখন সাধন আবশ্বক রোধ করেন, তখনই তাহার সাধনের প্রয়োজন। ঈশ্বরপ্রার্থী সন্তানের প্রার্থনার উত্তর দেন, ইহা একবার বিশ্বাস হইলে অগ্নিতে ঝম্প প্রদান করা হইয়াছে, তাহ সাধন করিতেই হইবে, পলাইবার পথ নাই। আমরা অনেক কাৰ্য্য করিতেছি। যথার্থ, কিন্তু তাহার কার্য্য করিবার যে মুখ ও শান্তি, তাহ হইতে বঞ্চিত হইতেছি। খাটিয়া খাটয় প্রাণান্ত হইলাম। অথচ পরিশ্রমের পুরস্কার পাইলাম না, ইহা বড় ক্ষোভের বিষয় । ঈশ্বরের আদেশ পাইলে আর সংশয় ও ভাবনা থাকে না। হইত, সেইরূপ ঈশ্বরের নিকট হইতে Inspiration আদেশ পাইলে সাধক যাহা করিবেন তাহাই হইবে এবং যাহা তাহার আদেশ তাহাই তিনি করিবেন। অবিশ্বাসের আবরণ দূর হইলেই কর্তব্য ও আদেশ এক হইয়া যাইবে। এখন ঈশ্বরের নিকট প্রার্থন এই “হে ঈশ্বর ! উচিতকে আদেশ করিয়া দাও।” ২। যেখানে আদেশ বলিয়াও জানিতে পারি না এবং উচিতও বুঝিতে পারি না, সেখানে প্রার্থনার পর কিয়ৎক্ষণ প্রতীক্ষা করিয়া জিজ্ঞাসা কর, “কি আজ্ঞা হয় ?” একটা মীমাংসা ন হইলে প্রার্থন না ছাড়া। ।
পাতা:ধর্ম্মসাধন.djvu/৬১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।