পাতা:ধর্ম্মানুষ্ঠান (প্রথম খণ্ড).pdf/২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So সমাপ্ত করিয়া অন্যান্য শাস্ত্ৰ সামান্য পাঠ করেন । সেই সময় দেবীপুরের বালবানন্দ স্বামী ছিলেন। ঐ সময় তাহার নিকট তন্ত্র পড়িতে আরম্ভ করেন, আট বৎসর এই পাঠ করার পর উক্ত স্বামী গৃণার পর্বতে চলিয়া যান। ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ও বাটী প্ৰত্যাগত হন । পিতার মৃত্যুর অব্যবহিত পরেই তাহার চুমরীগাছা নিবাসী ভৈরব সান্যালের কন্যার সহিত বিবাহ হয়। বাটী প্ৰত্যাগত হইয়া তাহার। তন্ত্র শিক্ষার বাসনা এত প্ৰবল হয় যে evকাশীধামের বিখ্যাত তান্ত্রিক কালিকানন্দ ব্ৰহ্মচারীর নিকট যাইয়া চারি বৎসর তন্ত্র অধ্যয়ন করিয়া বাটী প্ৰত্যাগত হন । এই সময় তাহার বয়স ২৮ আটাইশ বৎসর মাত্ৰ । এই সময়ের কিছু পুর্বে রাও মহেশ নারায়ণের মৃত্যু হয় । রাও মহেশ নারায়ণের পত্নী রাণী ৪/ শ্যামাসুন্দরী দেবী বিধবা হওয়া কালে প্ৰৌঢ়া ছিলেন না । লালগোলার এই ঐশ্বৰ্য্য তাহারই হস্তুে নিপতিত হয়। তিনি সকল বিষয়েই গুরুপত্নী ৬/ মধুসুন্দরী দেবী ও গুরুপুত্ৰ ৬/ কালীব্ৰহ্ম ভট্টাচাৰ্য্যের পরামর্শে সম্পন্ন করিতেন। by রাণী শু্যামাসুন্দরীর জীবন আদর্শস্থানীয়া কঠোর বৈধব্যে যাহা যাহা কৰ্ত্তব্য তাহা তিনি অকাতরে সম্পাদনা করিয়া গিয়াছেন গুরুভক্তিও তাহার আদর্শ। মৃত্যুর কিয়ৎ দিবস পুর্বে ৮ মহাভারত প্ৰতিষ্ঠ উপলক্ষে গুরুপুত্র ৮ কালীব্ৰহ্ম ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়কে ৮। কাশীধামে লইয়া যাইয়া প্ৰায় ৩০০০\তিন হাজার টাকার দ্রব্যাদি দান করেন । ইনি পুর্ব পুরুষের ন্যায় জপ, পুৱশ্চরণ ও ব্ৰত যথেষ্ট করিয়াছেন । সৰ্ব্বদা গুরুহিতানিরত ছিলেন । এই আদর্শ রমণী জীবনের দীর্ঘকাল কাশীবাস করিয়া গিয়াছেন । মৃত্যুর পূর্বে লালগোলা নিজ বাটীতে আসিয়া গুরু-চরণে নিজ