পাতা:ধর্ম্মানুষ্ঠান (প্রথম খণ্ড).pdf/২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ » h/o ] মস্তক স্থাপন করিয়া দেহত্যাগ করেন । ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের নিম্পূহতার একটী উদাহরণ যাহা আমরা তৎসাময়িক ব্যক্তির নিকট শুনিয়াছি তাহা উল্লেখ করিলাম । এক দিন রাও মহেশ নারায়ণ বলেন যে, আমার গুরুবংশ সম্পূর্ণভাবে আমাদের উপর নির্ভর করিতেছে। যদি এ বংশে কুলাঙ্গার জন্মে তাহা হইলে ইহাদের গতি কি হইবে অতএব ষে কোন উপায়ে ইহাদিগের কিছু সম্পত্তি করিয়া দিতে হইবে । তৎকালীন দেওয়ান এ প্ৰসঙ্গ উত্থাপন করিলে ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় উত্তর দেন যে “আমার কোন অভাব নাই, আশীৰ্ব্বাদ করি এ বংশে সেরূপ কেহ না জন্মগ্রহণ করে। অতএব এ গোলযোগে আমার কি আবশুক। পরে ৬০০২ ছয় শত টাকা লাভের সম্পত্তি লইতে স্বীকার করিয়া তাহাও আকারণ দান বলিয়া ঐ সম্পত্তির আয় হইতে মূল্য পরিশোধ হইলে গ্ৰহণ করিতে স্বীকৃত হন । তদপরে মহেশ নারায়ণের একান্ত জেদে ২টী জমিদারী মহাল খরিদ করিয়া এই মত ভাবে মূল্য পরিশোধ করিয়া গুৰুপুত্রের হস্তে দেন। তৎপরে মহেশ নারায়ণের পত্নী রাণী শুষ্ঠামাসুন্দরী ও বর্তমান রাজা যোগীন্দ্ৰনারায়ণের যত্নে ঐ সম্পত্তি অনেকাংশে বৃদ্ধি প্ৰাপ্ত হইয়াছে। পদ্মার উভয় পাশ্বের্ণ রাও সাহেব নিয়ম করিয়াছিলেন ষে তাঁহাদের প্রদত্ত নিষ্কর ভূমি একধারে বা অপর ধারে আসিবে। একাধারে অবশ্য গুরুদেবের থাকিবে । এই জন্য এই সকল নিস্কর জমি কখন এক মৌজায় কখনও বা অপর মৌজায় স্থিত হইত । পাঠাদি সমাপন করিয়া গৃহে আগমনের কিছুদিন পরেই ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়ের প্রথম স্ত্রী অপুত্ৰক অবস্থায় পরলোক গমন করেন। তদুপর শান্তিপুর নিবাসী ভুবনমোহন ভট্টাচাৰ্য্যের দ্বিতীয়া