পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/২১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( ¢७ ) যখন দেখি, আমরা যাহার উপাসনা করি, তাহার মহিমা তাহার প্রতাপ অপরিসীম –ৰ্তাহার অনতিক্রমণীয় ক্ষমতা কেহ অতিক্রম করিতে পারে না –জড় কি প্রাণ সকলেই তাহার আজ্ঞা প্রণত মস্তকে বহন করে ;–র্তাহার রাজ্যে র্তাহার স্বক্ষ দৃষ্টিতে কাহারও অন্যায় ও অবিচার হইতে পারে না ; আমরা কৃতার্থ হই এবং আনন্দাশ্র সম্বরণ করিয়া রাখিতে পারি না । উপাস্য পরিত্রাতা। যাহাতে পিতা ও মাতার গুণ আছে, তাহাতে পরিত্রাক্তার গুণও অবশ্য থাকিবে । কেন না পিতা মূল স্নেহ মমতা ও দয়াশীলতার আধার। পরি ত্ৰাণও স্নেহ ও দয়ার কার্য্য । কিন্তু রাজা কিরূপে পরিত্রাতা হইবেন, রাজারত পরিত্রাণ করা কাৰ্য্য নয় ; দণ্ড দেওয়া ও শাসন করা তাহার কার্য্য। যে শাসন করিবে, সে পরিত্রাণ করিবে কিরূপে ? তাহাতে দুই বিপরীত গুণের সামঞ্জস্য হইবে কি প্রকারে! আশ্চৰ্য্য! আমাদিগের উপাস্য যেমন দণ্ডবিধাতা, তেমনিই পরিত্রাতা। দণ্ড ও পরিত্রাণ দুইটুি বিপরীত কাৰ্য্যই তাহাতে থাকা প্রয়োজনীয় । উপাস্য যেমন দণ্ড দিবেন, তেমনই পরিত্রাণও দিবেন। এরূপ না হইলে উপাসকের আর আশা থাকিবে কিরূপে ? উপাস্য যে দণ্ড দেন, তাহ। নিষ্ঠুতামূলক হইতে পারে না । তাহা স্নেহ ও দয়ার কার্য। উপাস্যে পিতা মাতার গুণ আছে । পিতা মাতও দও দেন, কিন্তু পিতা মাতা যেমন দণ্ড দেন, সেইরূপ স্নেহও