পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/২২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( نن ) ইতিষ্কৰ্ত্তব্যবিমূঢ়ত পরিত্যাগ কর । লোকচরিত্রঘটিত দৃষ্টাঙ্কের অনুসরণ করিও না। ইন্দ্রিয়বিনাশের সঙ্কল্পও ভয় মনে রাখিও। না, কিন্তু ইন্দ্রিয়গণের সংযম কর। সংযম না করিলে ইক্রিয়গণের অবৈধ গতি নিবারিত হইবে না। ইন্ত্রিরগণের অসঙ্গত গতি থাকিলে তুমি কদাচ আপন অভীষ্ট ফললাভ . করিতে সমর্থ হইবে না। ইন্দ্রিয়দিগকে বৈধগতিসম্পন্ন করিতে হইলে অগ্রে জানা আবশ্যক, ইক্রিয়গণ কেন বিষয়ের প্রতি আসক্ত হয় । ইহার মূলানুসন্ধান করিলে জানা যাইবে, ইন্দ্রিয়গণ বাহ্যবস্তুর উৎকর্ষতাপকর্ষতানুসারে কখনও বিরক্ত আবার কখন অনুরক্ত হুইয়া থাকে। এই যে আসক্তি ও বিরক্তি ইহারা উভয়েই উপাসকের যোগ্যতালাভের অস্তুরায় । বিষয় যত চাকচিক্যময় ও উৎ কৃষ্ট বা সুন্দর হইবে, ইন্দ্রিয়গণ ੇ আসক্ত হইয়া পড়িবে। ইন্দ্রিয়গণ বিষয়াসক্ত হইলে সৰ্ব্বদাই আত্মার অবাধ্যতা প্রকাশ করে । আত্মার যাহা ইচ্ছ। ইন্দ্রিয়গণ কোনরূপেই তাহা সম্পাদন করিতে দেয় না। প্রত্যুত আত্মাকে বলপূৰ্ব্বক বিপথে চালিত করে। এই পরিচালনার উদ্বেগ সহ্য করিতে না পারিয়া আত্মা কৰ্ত্তব্য জ্ঞানে শিথিল ও প্রতিজ্ঞাড্রষ্ট হইয় পড়ে, এবং ইন্দ্রিয়গণ স্ব স্ব ইচ্ছানুসারে আত্মাকে লইয়া অযোগ্য পথে ধাৰিত হয়। এই অবস্থায় । আত্মা অসাড়, মৃতকর ও যন্ত্রের ন্যায় নিতান্ত পরবশ হইয়া কার্য করে। "তাত্মার স্বাধীন ইচ্ছার বল ও নিৰ্ম্মল বিবেকের