পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/২৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( هلالا ) একতর ভিন্ন প্রায়শঃ সকল অভাব এক জনের পক্ষে . ঘটে না । ঘটলেও পুনৰ্ব্বার অল্প দিনেই তাহার অভাব বিমোচিত হইবার আশা থাকে। কিন্তু যাহার ঈশ্বর নাই, তাহার সকলেরই অভাব ; তাহার কাতর্ঘ্য অপরিমিত । ঈশ্বরের অভাবে যাহার ব্যাকুলতা, পিতা মাত ভ্রাভ ভগিনী পুত্র কন্যা সুহৃৎ সখা অন্ন বস্ত্র দাস দাসী, ইহার কেহই সে ব্যাকুলতা দূর করিতে পারে না। সুতরাং ংসারে সহস্র মুখের সামগ্রী থাকিলেও তাহার ক্লেশের সীমা নাই । আবার ঈশ্বর র্যাহার হৃদয়ের কেন্দ্র ; এক মুহূৰ্ত্তও যিনি ঈশ্বর সহবাস হুখে বঞ্চিত নহেন, তুহার ংসারে কোন অভাব হয় না । পৃথিবী যত্বপূৰ্ব্বক তাহার সকল অভাব দূর করে। সাধক ! তুমি যদি ঈশ্বর প্রেমী সাধু পুরুষ কখন দেখিয়া থাক, তবে অবশ্যই দেখিয়াছ তাহার কেমন ঐশ্বৰ্য্য । যিনি ঈশ্বরের প্রেমযোগে হৃদয়কে বদ্ধ রাখিয়াছেন, তিনি পৃথিবীর নিকট কোন আশার সফলতার জন্য প্রতীক্ষা করেন না । পিতা মাতার অভাব বোধ হইলে ঈশ্বরকে তিনি পিতা-মাতা বলিয়া ডাকেন, বিচারের অভাব হইলে ঈশ্বরকেই রাজা বলিয়া বিচার প্রার্থনা করেন ; সখা ও সুহৃদের অভাব হইলে সেই পরম সখা পরমেশ্বরকে হৃদয়বন্ধু বলিয়া পরিতৃপ্ত হন । অন্নবস্ত্রের অভাব হইলে সেই বিশ্বজনক ও বিশ্বজননীর মুখের দিকে কাতর ভাবে একবার মাত্র তাকাইলেই জাহার সকল অভাব ঘুচিয়া যায়।