পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( مواد ) ভিন্ন তাহাদিগকে আমরা দেখিতে পাই না, কিন্তু সেই যন্ত্রবলে যখন তাছার আমাদিগের ইন্দ্রিয়গোচরে সমানীত হয়, তখন তাহাদিগের অরুতি ও বিস্তৃতি অতি সহজে হৃদয়ঙ্গম করিতে পারি। এই রূপ যে সকল গন্ধবাহী পরমাণু বায়ুর্যোগে আমাদিগের নাসিক যন্ত্রে প্রবিষ্ট হয়, তাছাও কিয়ৎপরিমাণ স্থান ব্যাপিয় থাকে, এবং এই সকল পরমাণু বহুসংখ্যক একত্রিত হইলে যে তাহার। আমাদিগের দৃষ্টিশক্তির আয়ত্ত হয়,ইছাতে কিছুমাত্র সংশয় নাই। যেমন : মৃগনাভির গন্ধবাহী পরমাণুর যে স্বক্ষ অংশ আমাদিগের নাসিকাতে প্রবিষ্ট হয়, তাহার ব্যাপকতা ও আকৃতি কিছুই আমরা অনুভব করিতে পারি না, কিন্তু একটা মৃগনাভির দান অবশ্যই আকার বিশিষ্টরূপে আমরা দেখিতে পাই, এবং স্থান ব্যতীত যে সেই দানাটা থাকিতে পারে ন৷ তাছাও আমরা বুঝি । ভৌতিক পরমাণুর এই দুইটা গুণ ব্যতীত আরও অসখ্য গুণ আছে। সেই সকল গুণ বিস্তার করিয়। বর্ণন করা এ প্রস্তাবের উদ্দেশ্য নহে, সুতরাং সে সকল পরিত্যাগ করিয়া চলিলাম। কিন্তু এ কথাটী না বলিয়া পারি না যে তাহাদিগের যত কেন গুণ থাকুক না, তাহার সকল গুণই আমাদিগের ইন্দ্রিয়গণের উপৰোগী। অামর কখন শ্রবণ, কখন দর্শন, কখন প্ৰাণ, কখন রসন এবং কখন স্পর্শ দ্বারা ভৌত্নিক বস্তু সকলের প্রকৃতি বা গুণ