পাতা:ধর্ম্ম বিজ্ঞান বীজ.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ ২৯ ) শরীরষন্ত্রের সাহায্যে আত্মার যে সকল কাৰ্য্য করিবার ব্যবস্থা আছে, সেই সকল কাৰ্য সাধনোপযোগী মনোৱত্তি থাকাও নিতান্ত প্রয়োজন। কেননা মনই ভাব রাজ্যের রাজ ; ইন্দ্রিয় সকল তাছার আবির্ভাবের স্থান মাত্র। পূৰ্ব্বে যে সকল সম্বন্ধ ও সম্বন্ধোচিত কৰ্ত্তব্যের কথা উল্লেখ করা হইয়াছে, সেই সকল কৰ্ত্তব্য শরীর দ্বারা সংসাধন করিতে ছয় । কিন্তু শরীর কার্য্য করিতে পারে না, শরীর “অবশ। সুতরাং শরীর কাৰ্য্যের সাধন ছইলেও তাছার পরিচালনী বৃত্তি চাই । সেই জন্য ভক্তি, বিনয়, কৃতজ্ঞতা, দয়া, ক্ষমা, ন্যায়পরতা, বীতরাগিতা, আশা অধ্যাবসায়, সরলতা, উদারতা, প্রীতি ও বৎসলতা, লজ্জা ও সহিষ্ণুতা প্রভৃতির স্বষ্টি হইয়াছে। এই বৃত্তি সকল আছে বলিয়, এই সকল রক্তিনিষ্ঠ বিষয়ও আছে। পিতা, মাতা, গুৰু, প্রভু, রাজা, পতি, পত্নী, পুত্ৰ কন্যা, সুহৃদ, সখা, ভ্রাত। ভগিনী, দরিদ্র, ৰুগ্ন, প্রজ, শিষ্য ও ভৃত্য প্রভৃতি ঐ সমস্ত বৃত্তির বিষয়। শরীর আছে বলিয়া এই সমস্ত শরীরনিষ্ঠ সম্বন্ধ আছে; সম্বন্ধ আছে বলিয়। তৎপালনোপযোগিনী বৃত্তি আছে ; রত্তি আছে বলিয়। তাছার উপযোগী বিষয় আছে। পতি পত্নী আছে বলিয়৷ তদনুরূপ ভাব আছে। পুত্র কন্যা আছে বলিয়। বৎসলত প্রভৃতি আছে । পিতা মাতা প্রভৃতি গুৰু জন আছে বলিয়া ভক্তি বিনয় কুত্ত্বজ্ঞতা আছে। দুঃখী