পাতা:ধুতুরা ও যুঁই -বিজন আচার্য.pdf/৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিজনকুমার মুখ্যত প্রেমের কবি। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ গুপ্পন প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৫৯ সালের বৈশাখে। ঘরোয়া দাম্পত্যপ্রণয়ের চিরপুরাতন বিরহমিলন-কথা ওতে গুঞ্জরিত হয়েছে। র্তার আসন্নপ্রকাশ নতুন কাব্যগ্রন্থের নাম ধুতুরা ও ই’। নামকরণের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করে কবি বলছেন, প্রকৃতির শান্ত রূপ, ক্ষুব্ধ জনগণ, লুব্ধ দু’য়ে মন । একের গরল পানে বিষের যে জালা অপরের প্রশান্তিতে শান্তিবারি ঢালা, বিপরীত দুই ; ধুতুরা ও যুই এসেছিল জীবনের প্রদীপ্ত বাসরে, তারি গান গাই তাই তাদেরি আসরে । কিন্তু বিজনকুমারের কাব্যলোকের অন্তঃপুরে প্রবেশ করলে দেখা যাবে, ক্ষুব্ধ জনগণ নয়, প্রশান্ত প্রকৃতিও নয় ; বিচিত্রম্বাদী প্রেমই তার কবিতার বিষয়বস্তু। আর, বলাই বাহুল্য, শিল্পগোত্র মান্তষের হৃদয়বাসনায় প্রেমের দুটি রূপ। স্বকীয় আর পরকীয়া । রবীন্দ্রনাথের শেষের কবিতার নায়ক অমিত রায়ের ভাষায় ... ভালোবাসা ব্যাপ্তভাবে আকাশে মুক্ত থাকে, অন্তরের মধ্যে সে দেয় সঙ্গ ; যেভালোবাসা বিশেষভাবে প্রতিদিনের-সব কিছুতে যুক্ত হয়ে থাকে, সংসারে সে দেয় আসঙ্গ। এই দুই প্রেমের পার্থক্য বিশ্লেষণ করে অমিত রায় বলছে, একটি যেন ঘডায় তোলা জল, প্রতিদিন তুলবে, প্রতিদিন ব্যবহার করবে। আরেকটি যেন দিঘি, সে ঘরে আনবার নয়, প্রেমিকের মন তাতে সাতার দেবে। সামাজিকের বিচার যাই হোক, রসিক মানুষ বলবে, প্রেমের এই দুই ৰূপ যার উপলব্ধিতে ধরা পড়েছে প্রেমের জগতে সে ভাগ্যবান। কেননা সে-ই প্রেমকে সম্পূর্ণভাবে পেয়েছে। বিজনকুমারের ‘গুল্পন’ আর ধুতুরা ও দুই – এই দুখানি কাব্যগ্রন্থ একসঙ্গে পড়লে দেখতে পাওয়া যাবে, কবির সূক্ষ্ম ও মুকুমার প্রেমচেতনায় প্রেমের স্বকীয় ও পরকীয়—দুটি রূপই উজ্জল হয়ে উঠেছে। যে-প্রেম প্রতিদিনের সব-কিছুতে যুক্ত হয়ে থাকে তার কথা তিনি বলেছেন "গুয়নে ; আর ষে-প্রেম ব্যাপভাবে আকাশে মুক্ত থেকে অস্তরের মধ্যে দেয় সঙ্গ সেই প্রেমের