পাতা:ধুতুরা ও যুঁই -বিজন আচার্য.pdf/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথা বলা হয়েছে ধুতুরা ও যুঁই-এ। যুথিকার প্রাকৃত রূপ জুই হলেই ভাষাতাত্ত্বিক খুশি হতেন ; কিন্তু প্রাকৃত জগতের হয়েও যা অপ্রাকৃতের আভাস এনে দেয় তাকে যুই বলতেও আমার আপত্তি নেই। সহৃদয় কাব্যরসিক আমাকে অবশুই ভুল বুঝবেন না, আমি অলৌকিক অর্থে অপ্রাকৃত কথাটা ব্যবহার করিনি। অপ্রাপণীয় বলেই এই প্রেম অপ্রাকৃত। কবি বলছেন, চকিত চপল৷ মেঘে করে খেলা ধরিবার সে তো নয় । শুধু অকারণ ব্যথার দহন অন্তরে করে ক্ষয় । তবু তারি লাগি ফিরি পথে পথে, ভুলিতে পারি না তারে কোন মতে , স্বপনের ছায়। কবে এ মরতে ধরেছে মানবী কায়া ? তবু করি ভূল হৃদয়ে আকুল মুগ-তৃষ্ণার মায়া ॥ কবি যে-অনুভূতিকে বলছেন মৃগতৃষ্ণার মায়, আসলে তা কিন্তু মায়া বা মতিভ্রম নয় , চির-অপ্রাপণীয়া হলেও সে এই মর্ত্যজীবনেরই দেহলিপ্রান্তের প্রতিবেশিনী। তার সঙ্গে নিত্য-উপচীয়মান পূর্বরাগ-অন্তরাগের আদি পর্ণটির কথা কবি নিজেই আমাদের শুনিয়েছেন : সোনালী রোদের রঙ মেঘে গেছে লেগে , নিশার স্বপন খানি স্মরণে জড়িত, আলগোছে সেই রোদ মুখেতে পডিত, পরম আলস্য ভরে, হাতে তাই ঢেকে পাশ ফিরে খুলে নিতে নভেলের পাতা ;— সে ছবি হৃদয়ে মোর আজো আছে গাথা । প্রতিবেশিনী এই সমবয়সিনীর যে মূর্তিটি কবিপ্রেমিকের কৈশোরের স্বপুসঙ্গিনী ছিল তার অা গুণরাঙা শাড়ীখানি ছিল "অঙ্গ ঘিরে অগ্নিশিখার মত।’