পাতা:ধুস্তুরী মায়া ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বদন চৌধুরীর শোকসভা
১১৩

দুই প্রেতাত্মা সুড়ুৎ করে বেরিয়ে এল, যমদূতরা তখনই তাদের নিয়ে উধাও হল।

 শরীর থেকে প্রেত নিষ্ক্রান্ত হওয়া মাত্র গোবর্ধনবাবু আর আঙ্গিবসবাবু মূর্ছিত হয়ে পড়ে গেলেন। ভাগ্যক্রমে একজন ডাক্তার উপস্থিত ছিলেন, তাঁর চেষ্টায় এঁরা শীঘ্রই চাঙ্গা হয়ে উঠলেন। ডাক্তার বললেন, এই দুটো গেলাসের শরবত এঁরা খেয়েছিলেন। টেস্ট করা দরকার, নিশ্চয় কোনও বদ লোক ভাঙ কিংবা ধুতরো মিশিয়ে দিয়েছিল।

 প্রেততত্ত্ববিশারদ হারাধন দত্ত ঘাড় নেড়ে বললেন, উঁহু সিদ্ধি গাঁজা ধুতরো নয়, মদও নয়, ওসব আমার ঢের পরীক্ষা করা আছে। এ হল আসল ভৌতিক ব্যাপার মশাই, আজ আপনারা স্বকর্ণে দুই প্রেতের ঝগড়া শুনেছেন। এর ফল বড় খারাপ, বাড়ি গিয়ে কানে একটু তুলসীপাতার রস দেবেন।

 সভা ভেঙে গেল।

১৩৫৯