তা অল্পক্ষণ আলাপে সহজেই কেটে গেল। সে প্রশ্ন করলে, রুবিদির সঙ্গে আপনার ভাব হল?
খগেন হেসে বললে, কই আর হল। চায়ের টেবিলে তুমি যে বোমা ছুঁড়েছ তাতে তো সবাইকার মেজাজ খারাপ হয়ে গেছে।
—আপনি আমার ওপর রাগ করেছেন? আমার কিন্তু কিচ্ছু দোষ নেই।
—না না, তুমি খুব ভাল ছেলে, শুধু একটু কাণ্ডজ্ঞানের অভাব, যা বলতে নেই তাই বলে ফেলেছ।
—আমি তো সত্যি কথাই বলেছি। আমার বড়দির কাছেই শুনেছি যে মানিকের মা বলেছিলেন তাই খাবার তৈরি করে দিয়েছে।
—না হে না। তুমি কিচ্ছু জান না, রুবি-দিই সব নিজের হাতে তৈরি করেছে।
—কখ্খনো নয়, আপনিই কিচ্ছু জানেন না। রুবি-দি শুধু আলু সেদ্ধ আর ডিম সেদ্ধ করতে পারে। ব্যাঙের ছবিটা তার আঁকা বটে, কিন্তু সেই যে পদ্মফুল আর মুরগির ছবিওয়ালা টেবিল ক্লথটা আপনাকে দেখিয়েছে সেটা রুবি দি তৈরি করে নি। মানিকদের বাড়ির পাশের বাড়িতে আমাদের ক্লাসের কেল্টে থাকে, তারই পিসীমা ওটা বানিয়েছে। আমি ওদের বাড়ি যাই কিনা, তাই সব জানি।
—উঃ, তুমি অতি সাংঘাতিক ছেলে, আঁফাঁ তেরিব্ল! কিন্তু তোমার সেই জয়ন্তীমঙ্গলা দিদিমণিই যে খাবার তৈরি করেছেন তার প্রমাণ কি? তোমাদের বাড়ি গেলে আমাকে ওই রকম খাওয়াতে পারবে?
—খুব পারব, না পারলে আমার দু কান মলে দেবেন।