পাতা:ধুস্তুরী মায়া ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দুই বুড়োর রূপকথা

চিবিয়ে খাবে, যটা ছোলা খেয়েছিল তটা বেলপাতা। তার পর এই মন্ত্রটি বলে একটি ডুব দেবে—

বম মহাদেব, সকল বস্ত‍ু
আগের মতন আবার অস্ত‍ু।

 ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমী নীরব হল। আরও কিছু, শোনবার আশায় খানিক ক্ষণ সবুর করে উদ্ধব বললেন, বোধ হয় ঘুমিয়ে পড়েছে। যা শোনা গেল তাই যথেষ্ট। প্রক্রিয়াটি যা বললে তা মালবীয়জীর কায়কল্পের চাইতে ঢের সোজা, বিপদের ভয়ও দেখছি না।

 জগবন্ধু বললেন, ধুতরোর রস হচ্ছে বিষ তা জান?

 —আরে ছোলার মধ্যে কতই আর রস ঢুকবে। ব্যাঙ্গমার কথা যদি মিথ্যেই হয় তবে বড় জোর একটু নেশা হবে। আমরা তো আর মুটো খানিক ছোলা খাব না।

 —তবে চল, দেখা যাক বেড়ার দক্ষিণে নীল ধতরোর গাছ আছে কি না।

 দুজনে গিয়ে দেখলেন, ধুতরো গাছের জঙ্গল, বড় বড় ফল ধরেছে। জগবন্ধু বললেন, বোধ হয় পরশ‍ু কৃষ্ণপক্ষের পঞ্চমী, বাড়ি গিয়ে পাঁজি দেখতে হবে। সেদিন ছোলা আর একটা ছুরি নিয়ে আসা যাবে।


ঞ্চমীর দিন উদ্ধব আর জগবন্ধু ধুতরোর বনে এসে দশ-বারোটা ফল চিরে তার মধ্যে ছোলা পুরে দিলেন। তার পরেরকদিন তাঁরা নানারকম ভাবনায় আর উত্তেজনায় কাটালেন। জগবন্ধু অনেক বার বললেন, কাজটা ভাল হবে না। উদ্ধব বললেন, অত ভয় কিসের, এমন সুযোগ ছাড়তে আছে! আমাদের