পাতা:ধুস্তুরী মায়া ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অগস্ত্যদ্বার
১৫১

স্থির করেছি, তাতে সৌহার্দ্যের প্রতিজ্ঞা, অগ্রযাত্রার শপথ, এবং উভয়ের মর্যাদা সমস্তই রক্ষা পাবে।

 উদ্‌গ্রীব হয়ে দুই রাজা বললেন, কি প্রকার সমাধান?

 কহোড় বললেন, মহারাজ কনকবর্মা, আপনি রাজধানী থেকে এক দল নিপুণ খনক আনান, তারা এই অগস্ত্যদ্বারের তলা দিয়ে একটি সুড়ঙ্গ খনন করুক। সেই সুড়ঙ্গপথে আপনি দক্ষিণ দিকে এবং উপরের পথে বিদর্ভরাজ বিশাখসেন উত্তর দিকে একই মূহূর্তে যাত্রা করবেন।

 বিশাখসেন বললেন, যুক্তি মন্দ নয়। কিন্তু পর্বতের নীচে সুড়ঙ্গ করতে অন্তত এক বৎসর লাগবে। তত দিন আমরা কি করব? রথ থেকে আমি কিছুতেই নামব না তা বলে দিচ্ছি।

 কহোড় বললেন, নামবেন কেন। রথে আরূঢ় থেকেই একটু কষ্ট করে এক বৎসর কাটিয়ে দেবেন, ওখানেই শৌচ-স্নানাদি পানভোজনাদি অক্ষক্রীড়াদি করবেন, ওখানেই নিদ্রা যাবেন। রাজধানী থেকে নর্তকীদের আনিয়ে নিন, তারা নৃত্যগীত করে আপনাদের চিত্তবিনোদন করবে।

 কনকবর্মা বললেন, সড়ঙ্গ টুড়ঙ্গ চলবে না। বিশাখসেন উপর দিয়ে যাবেন আর আমি মুষিকের ন্যায় তাঁর নীচে দিয়ে যাব এ হতেই পারে না।

 বিড়ঙ্গ বললেন, মহারাজ কনকবর্মা, আর এক উপায় আছে। আপনি কুবেরের আরাধনা করুন যাতে তিনি তুষ্ট হয়ে কিছুক্ষণের জন্য তাঁর পুষ্পক বিমানটি পাঠিয়ে দেন। সেই বিমানে আপনি আকাশমার্গে দক্ষিণ দিকে যাবেন এবং বিদর্ভরাজ গিরিসংকট দিয়ে উত্তর দিকে যাবেন।

 বিশাখসেন বললেন, উনি আমার মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাবেন