পাতা:ধুস্তুরী মায়া ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দুই বুড়োর রূপকথা
১৫

লিখে দাও না যে পরশু যাবে। তাড়াতাড়ি করলে ভাববে তোমার গরজ খুব বেশী।

 —তুমি বোঝ না, কোনও কাজে গড়িমসি ভাল নয়।

 উদ্ধব টেলিফোন ধরে ডাকলেন, নর্থ টু থ্রি ফোর।......ইয়েস। একটু পরে মেয়েলী গলায় সাড়া এল, কাকে চান?

 —শ্রীযুক্তেশ্বরী আছেন কি? আমি হচ্ছি উমেশ পাল, আলাপের জন্য আমিই বিজ্ঞাপন দিয়েছিলুম।

 —ও, আপনি একজন ক্যাণ্ডিডেট?

 উদ্ধব একট, গরম হয়ে বললেন, ক্যাণ্ডিডেট আপনাদের রাজকুমারী, তাঁর তরফ থেকেই তো বিজ্ঞাপনের উত্তরে দরখাস্ত পেয়েছি।

 —দরখাস্ত বলছেন কেন। আমিই রাজকুমারী, আপনি দেখা করতে চান তো আজ সন্ধ্যায় আসতে পারেন।

 উদ্ধব নীচু গলায় জগবন্ধুকে বললেন, জানিয়ে দিই যে আমরা দুজনে যাব, কি বল? জগবন্ধু বললেন, আরে না না, এসব ব্যাপারে সঙ্গী নেওয়া চলে না।

 উত্তর আসতে দেরি হচ্ছে দেখে রাজকুমারী বললেন, হেলো।

 উদ্ধব জবাব দিলেন, কিলো।

 —ও আবার কি রকম! ভদ্রমহিলার সঙ্গে কথা কইতে জানেন না?

 —খুব জানি। আলাপ তো হবেই, এখনই শ‍ুরু করলে দোষ কি। আজই সন্ধ্যায় আপনার কাছে যাব।

 —আপনাকে বকাটে ছোকরা বলে মনে হচ্ছে।

 —ঠিক ধরেছেন। বয়স যদিচ পঁয়ত্রিশ, কিন্তু স্বভাব কুড়িপঁচিশের মতন। দেখুন, আপনার গলার সুরটি খাসা। চেহারাটিও ওই রকম হবে তো?

 —দেখতেই পাবেন। মশাই নিজে কেমন?