কানে আঙ্গুল দিয়ে স্পন্দচ্ছন্দা বললেন, থাক থাক, খুবে হয়েছে। আয় কত?
—তোমার কোনও চিন্তা নেই। ব্যাঙ্কে খোঁজ নিলেই জানতে পারবে যে আমার দেদার টাকা আছে। বাড়ি, গাড়ি, আসবাব, গহনা, সব তোমার মনের মতন হবে। তোমার এস্টেটের আয় কত?
—পাকিস্থানে পড়েছে অনেক কাল আদায় হয় নি। তবে ভাবনার কিছু নেই। খা ঁসায়েব বদরুদ্দিন আমার বাবার বন্ধু তিনি বলেছেন সব আদায় করে দেবেন।
—তবেই হয়েছে। বেচে ফেল, বেচে ফেল।
——বেশ তো। আপনিই তার ব্যবস্থা করবেন।
—আচ্ছা। বৈষয়িক আলাপ তো এক রকম হল, এখন একট প্রেমালাপ করা যাক। দেখ পদীরানী, আমার সঙ্গে দু দিন ঘর করলেই টের পাবে আমি কি রকম দিলদরিয়া চমৎকার লোক। পষ্ট করে বল দিকি—আমাকে মনে ধরেছে?
—তা ধরেছে।
একজন প্যাণ্ট-শার্ট পরা আধাবয়সী ভদ্রলোক পাইপ টানতে টানতে ঘরে ঢুকলেন। স্পন্দচ্ছন্দা দু পক্ষের পরিচয় করিয়ে দিলেন —ইনি হচ্ছেন মিস্টার মকর রায়, বার-অ্যাট-ল, সম্পর্কে আমার দাদা হন। আর ইনি উমেশ পাল, খুব ধনী পেণ্ট মার্চেণ্ট, আমার ভাবী বর।
মকর রায় বললেন, আরে তাই নাকি! এরই না আজ আসবার কথা ছিল? বাহাদুর লোক, এসেই হৃদয় জয় করেছেন, একেবারে ব্লিৎস ক্লিগ। কংগ্রাচুলেশন মিস্টার পাল, লাকি ডগ, ভাগ্যবান কুত্তা! এই বলে উদ্ভবের হাত সজোরে নেড়ে দিলেন। তার পর বললেন, স্পন্দার মতন মেয়ে লাখে একটি মেলে না মশাই, নাচ গান অ্যাকটিং