বেশ, এখন তুমি বিদেয় হও, একটা শুভদিন দেখে আমি শকুন্তলার কাছে যাব।
পুলিন জিজ্ঞাসা করলে, প্রভু, মেনকার বয়স কত?
দুর্বাসা বললেন, তুমি তো আচ্ছা বোকা দেখছি। অপ্সরার আবার বয়স কি? জ্যোৎস্না বিদ্যুৎ রামধনু—এসবের বয়স আছে নাকি? তার পর শোন। মেনকা চলে গেল। তিন দিন পরে আমি যাত্রার জন্য প্রস্তুত হলাম। অপ্সরাই বল আর দিব্যাঙ্গনাই বল, মেনকা আসলে হল স্বর্গবেশ্যা, লৌকিকতার কোনও জ্ঞানই তার নেই। কিন্তু আমার তো একটা কর্তব্যবোধ আছে। শধু ঝুমঝুমি নিয়ে গেলে ভাল দেখাবে কেন, কিছু, খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যেতেই হবে। সেজন্য আশ্রমের নিকটস্থ বন থেকে একটি সুপুষ্ট ওল আর সেরখানিক বড় বড় তিন্তিড়ী সংগ্রহ করে ঝুলির ভেতর নিলুম।
পুলিন বললে, এক মাসের খোকা বুনো ওল আর বাঘা তেতঁতুল খাবে?
আমি বললুম, তা আর না খাবে কেন। সেকালের ক্ষত্রিয় খোকারা পাথর হজম করত, বিলিতী গুঁড়ো দুধের তোয়াক্কা রাখত না।
দুর্বাসা বললেন, তোমরা অত্যন্ত মূর্খ। ওল আর তেঁতুল ছেলে কেন খাবে, আশ্রমবাসী তপস্বী আর তপম্বিনীরা সবাই খাবেন। তার পর শোন। যথাকালে হেমকূটে পৌঁছে মরীচিপুত্র ভগবান কশ্যপ ও তৎপত্নী ভগবতী অদিতিকে বন্দনা করলুম, তার পর শকুন্তলার কাছে গেলুম। আমি যে শাপ দিয়েছিলুম তা বোধ হয় সে জানত না, আমাকে দেখে খুশীই হল। ওল আর তেঁতুল উপহার দিলুম, মেনকার কথামত ছেলেকে আদর করে আশীর্বাদও করলুম। বললুম, শকুন্তলা, তোমার এই পত্র শ্রীমান সর্বদমন-ভরত আসমদ্র-