পাতা:ধুস্তুরী মায়া ইত্যাদি গল্প - পরশুরাম.pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৭৬
ধুস্তুরী মায়া

 এখন আর কোনও সন্দেহ রইল না যে মা-লক্ষী প্রসন্ন হয়ে স্বয়ং তাঁর বাহনটিকে পাঠিয়ে দিয়েছেন, যত দিন মুচুকুন্দ তার পক্ষপুটের আশ্রয়ে থাকবেন তত দিন কৃপারাম আর পঞ্চানন কোনও অনিষ্ট করতে পারবে না।


তিন দিন পরে কৃপারাম কচালু সকালবেলা মুচুকুন্দবাবুর সঙ্গে দেখা করতে এলেন। মুচুকুন্দ বললেন, আসুন আসুন শেঠজী, আজ আমার কি সৌভাগ্য যে আপনার দর্শন পেলুম হুকুম করুন কি করতে হবে।

 কাষ্ঠ হাসি হেসে কৃপারাম বললেন, আপনাকে হুকুম করবার আমি কে বাবু সাহেব, আপনি হচ্ছেন কলকত্তা শহরের মাথা। আমি এসেছি একটি খবর জানতে। আপনার এখানে একটি উল্লু আছে?

 মুচুকুন্দ বললেন, উল্লুক? একটি কেন, দুটি আছে, আমার ছেলে দুটোর কথা বলছেন তো?

 —আরে রাম কহ। উল্লুক নয়, উল্লু যাকে বলে পেঁচ।

 —ইস্ক্রুপ? সে তো হার্ডওয়ারের দোকানে দেদার পাবেন।

 —আঃ হা, সে পেঁচ নয় চিড়িয়া পেঁচ, তাকেই আমরা উল্লু বলি, রাত্রে চুপচাপ উড়ে বেড়ায়, চুহা কবুতর মেরে খায়।

 —ও, পেঁচা! তাই বলুন। হাঁ, একটি পেঁঁচা কদিন থেকে এখানে দেখছি বটে।

 কৃপারাম হাত জোড় করে বললেন, বাবুসাহেব, ওই পেঁচা আমার পোষা, শ্রীমতীজী—মানে আমার ঘরবালী—ওকে খুব পিয়ার