পাতা:ধূসর পান্ডুলিপি - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छूमिका ধসের পাণ্ডুলিপি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৩ সালের আশিবনে। আজ প্রায় কুড়ি বছর পরে তার দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে প্রথম সিগনেট সংস্করণ হিসেবে। এবারে বইখানির কলেবর আগের চাইতে বধিত হচ্ছে; দুঃখের বিষয়, কবি বেচে থাকতে তা হতে পারল না, তাহলে তা নিশ্চয়ই সামঞ্জস্যপণে সন্তে সাথকতার সঙ্গে হতে পারত। প্রথম সংস্করণের ভূমিকায় কবি উল্লেখ করেছিলেন যে, এই গ্রন্থে গ্রথিত কবিতাগুলির সমকালীন অনেক অপ্রকাশিত কবিতা ধসরতর হয়ে তাঁর কাছে বেচে রয়েছে, যদিও গ্রন্থিত অনেক কবিতার চেয়ে তাদের দাবি একটুও কম নয়। সেই সব ধসরতর কবিতা সন্ধান করতে গিয়ে দেখছি, তাদের অনেকগুলি আজ আর বেচে নেই; কীটদষ্ট হয়ে উদ্ধারের অতীত হয়েছে। মাত্র দরখানি খাতা সংগ্রহ করা সম্ভবপর হয়েছে। সেই খাতা দটি থেকে মোট পনেরোটি কবিতা এ-সংস্করণে সংযোজিত হল। ধন্সর পান্ডুলিপি'র সরে ও সাময়িকতা যে-সব কবিতায় মোটামুটি প্রখর, সেই সব কবিতাই অগ্রাধিকার পেল। কোনো-কোনো কবিতাতে অবিশ্যি ধন্সর পাডুলিপি'র পরেকার কাব্যপর্যায়ের চরিত্রগত সবাতন্ত্রোর আভাস চোখে পড়তে পারে। হয়তো এ-সব কবিতা বিবতনশীল কাব্যপ্রবাহের একটা অন্তবতীকালীন সন্ধিপবের চিহ্নযুক্ত। এই ক্ৰমবিবতনশীলতার উপর নিভীর না-করে কবিতার বিন্যাসসাধনের বিষয়ে মোটামুটি ভাবে রচনার কালক্ৰম অনুসরণ করা হয়েছে। এই অপ্রকাশিত কবিতাগুলি সংযোজনের ব্যাপারে ঈষৎ সঙ্কোচ বোধ কবতে হচ্ছে; কেননা, প্রকাশ করার পাবে প্রত্যেকটি কবিতাকে পরিমাজিত করার অভ্যাস কবির ছিল, যাতে করে প্রথম লিখবার সময় যেমন ছিল তার চেয়ে বেশি স্পষ্টভাবে—চারদিককার প্রতিবেশচেতনা নিয়ে শািন্ধ প্রতকের আবিভাবে, কবিতাটি আরো সত্য হয়ে উঠতে পারে: পনরায় ভাবপ্রতিভার আশ্রয়ে।" সে-রকম পরিমার্জনা করা এখন আর সম্ভবপর নয়। তাই, সংযোজিত কবিতাগচ্ছে যে স্রস্টার প্রখর অভিভাবকতা লাভের সৌভাগ্য থেকে একেবারেই বঞ্চিত, সহৃদয়ু পাঠককে এই কথাটি স্মরণে রাখতে অনুরোধ করি। কলকাতা । আশ্বিবন ১৩৬৩ অশোকানন্দ দাশ