পাতা:ধূসর পান্ডুলিপি - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిసె কেউ আর ডাকিবে না,–এইখানে এই নিশ্চয়তা — তোমার দচোখ কেউ দেখে থাকে যদি পথিবীতে, কেউ যদি শনে থাকে কবে তুমি কি কয়েছ কথা, তোমার সহিত কেউ থেকে থাকে যদি সেই শাঁতে,— সেই পৃথিবীর শীতে-আসিবে কি তোমারে চিনিতে এইখানে সে আবার!—উঠানে পাতার ভিড়ে বসে, কিবা ঘরে—হয়তো দেয়ালে আলো জেলে দিতে-দিতে,— যখন হঠাৎ নিভে যাবে তার হাতের আলো সে– অসন্থে পাতার মত দলে তার মন থেকে পড়ে যাব খসে ! Հ0 কিবা কেউ কোনোদিন দেখে নাই—চেনে নি আমারে! সকালবেলার আলো ছিল যার সন্ধ্যার মতন,— ইশারয় ভূত ডেকে জীবনের সব আযোজন আরম্ভ সে করেছিল!—কোনোদিন কোনো লোকজন তার কাছে আসে নাই;—আকাঙ্ক্ষার কবরের পরে পবের হাওয়ার মত এসেছে সে হঠাৎ কখন!— বীজ বনে গেছে চাষা,—সে বাতাস বীজ নষ্ট করে! ঘমের চোখের পুরে নেমে আসে আশ্রম আর অনিদ্রার স্বরে ! ミ > যেমন ব্যটির পরে ছোড়া-ছোড়া কালো মেঘ এসে আবার আকাশ ঢাকে –মাঠে-মাঠে অধীর বাতাস ফোঁপায় শিশুর মত,—একবার চাঁদ ওঠে ভেসে— দরে—কাছে দেখা যায় পথিবীর ধান ক্ষেত ঘাস, আবার সন্ধ্যার বঙে ভরে ওঠে সকল আকাশ,— মড়ার চোখের রঙে সকল পৃথিবী থাকে ভাবে!— যে মরে যেতেছে তার হৃদয়ের সব শেষ শবাস সকল আকাশ আর পথিবীর থেকে পড়ে ঝরে!— জীবনে চলেছি আমি সে পথিবী আকাশের পথ ধবে-ধাবে!