পাতা:ধূসর পান্ডুলিপি - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨C: মৃত্যুরে বন্ধর মত ডেকেছি তো—প্রিয়ার মতন !— চকিত শিশুর মত তার কোলে লকোয়েছি মুখ; রোগীর জনরের মত পথিবীর পথের জীবন; অসমথ চোখের পরে অনিদ্রার মতন অসুখ; তাই আমি প্রিয়তম ;—প্রিয়া বলে জড়ায়েছি বনক,-— ছায়ার মতন আমি হয়েছি তোমাব পাশে গিয়া — যে-ধােপ নিভিয়া যায় তার ধোঁয়া অাঁধারে মিশকে,— যে-ধোঁয়া মিলায়ে যায় তারে তুমি বকে তুলে নিয়া ঘমোনো গন্ধের মত সবগুন হয়ে তার ঠোঁটে চুমো দিও, প্রিয়া! SS মৃত্যুবে ডেকেছি আমি প্রিয়ের অনেক নাম ধরে। যে-বালক কোনোদিন জানে নাই গহদরের ভয়, পবের হাওয়ার মত ভূত হয়ে মন তার ঘোরে!— নদীর ধরে সে ভূত একদিন দেখেছে নিশ্চয়! পায়ের তলের পাতা—পাপড়ির মত মনে হয় জীবনেরে,– খসে ক্ষয়ে গিয়েছে যে, তাহার মতন জীবন পড়িযা থাকে—তার বিছানায় খেদ-ক্ষ্য — পাহাড় নদীর পারে হাওয়া হয়ে ভূত হয়ে মন চকিত পাতার শব্দুে বাতাসের বকে তাবে করে অন্বেষণ! 있어 জীবন—আমার চোখে মথ'তুমি দেখেছ তোমার,— একটি পাতার মত অন্ধকারে পাতা-ঝবা গাছে – একটি বোঁটার মত যে-ফল ঝরিয়া গেছে তার – একাকী তারাব মত, সব তাবা আকাশের কাছে যখন মাছিয়া গেছে—পথিবীতে আলো আসিয়াছে;— যে ভালোবেসেছে, তার হাদযের ব্যথার মতন;— কাল যাহা থাকিবে না—আজই যাহা সমতি হয়ে আছে – দিন-রাত্ৰি— আমাদেব পাথিবীব জীবন তেমন! সন্ধ্যার মেঘেব মত মহাতের রং লযে মহাতে নাতন!

  • >