পাতা:ধূসর পান্ডুলিপি - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুদা-শাদা ফেনাফলে;. কতবার দরে উপকলে তারাভরা আকাশের তলে বালকের মত এক—সমুদ্রের জলে দেহ ধয়ে নিয়া জেনেছি দেহের সবাদ;— গেছে বকে—মখে পরশিয়া রাঙা রোদ,—নারীর মতন এ-দেহ পেয়েছে যেন তাহার চুম্ববন ফসলের ক্ষেতে ! প্রথম প্রণয়ণী সে যে, কাতিকের ভোরবেলা দরে যেতে-যেতে থেমে গেছে সে আমার তরে ! চোখ দলটো ফের ঘনমে ভরে যেন তার চুমো খেয়ে ! এ-দেহ,—অলস মেয়ে পরেষের সোহাগে অবশ! -- চুমে লয় রৌদ্রের রস হেমন্ত বৈকালে উড়ো পাখপাখালীর পালে উঠানের ;–পেতে থাকে কান,— শোনো ঝরা-শিশিরের গান অম্রাণের মাঝরাতে ; হিম হাওয়া যেন শদ্রা ককালের হাতে এ-দেহেরে এসে ধরে,— ব্যথা দেয়! নারীর অধরে চুলে—-চোখে—জুয়ের নিঃশ্বাসে ভরা ফসলের মত পড়ে ছিড়ে এই দেহ —ব্যথা পায় ফিরে !... তব এই শস্যক্ষেতে পিপাসার ভাষা ফরাবে না –কে বা সেই চাষা,— কাস্তে হাতে,—কঠিন,--কামকে,-— আমাদের সবটুকু ব্যথাভরা সুখ উচ্ছেদ করিবে এসে একা!— কে বা সেই!—জানি না তো,--হয় নাই দেখা আজো তার সনে ; আজ শধে দেহ—আর দেহের পীড়নে 48