পাতা:ধূসর পান্ডুলিপি - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অঘাণ আমি এই আঘাণেরে ভালোবাসি—বিকেলের এই রং—রঙের শান্যতা রোদের নরম রোম—ঢাল মাঠ—বিবণ বাদামি পাখি—হলদে বিচালি পাতা কুড়াবার দিন ঘাসে-ঘাসে—কুড়মানির মুখে তাই নাই কোনো কথা, ধানের সোনার কাজ ফরোয়েছে—জীবনেরে জেনেছে সে—কুয়াশায় খালি তাই তার ঘুম পায়—ক্ষেত ছেড়ে দিয়ে যাবে এখনি সে—ক্ষেতের ভিতর এখনি সে নেই যেন—ঝরে পড়ে আঘাণের এই শেষ বিষন্ন সোনালি তুলিটকুে ;—মছে যায় ;--কেউ ছবি অকিবে না মাঠে-মাঠে যেন তারপর, আকিতে চায় না কেউ—এখন অন্ত্রাণ এসে পৃথিবীর ধরেছে হৃদয় ; একদিন নীল ডিম দেখি নি কি ?—দটো পাখি তাদের নীড়ের মদ খড় সেইখানে চুপে-চুপে বিছায়েছে;—তব্য নীড়—তব ডিম,—ভালোবাসা সাধ শেষ হয় তারপর কেউ তাহা চায় নাকো—জীবন অনেক দেয়—তব্যও জীবন আমাদের ছয়টি দেয় তারপর—একখানা আধখানা লকোনো বিসময় অথবা বিসময় নয়—শধ্যে শান্তি–শধ্যে হিম কোথায় যে রয়েছে গোপন আঘাণ খুলেছে তারে—আমার মনের থেকে কুড়ায়ে করেছে আহরণ। ৯১