পাতা:ধূসর পান্ডুলিপি - জীবনানন্দ দাশ.pdf/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনো হাঁস বেগনি বনের পারে ঝাউ বট হিজলের ডালপালা চুপে-চুপে নেড়ে কে যেন বিছাতে চায় নীড় তার গাছের মাথার পরে হাঁসের মতন ; তারপর দেখা দেয় একবার ;–নিজন বনের এই বিস্মিত হাঁসেরে দেখি আমি—রপোলি পালকে তার উড়ন-উড় জামপাতা ছায়া শালবন পড়িতেছে-কালো-কালো শাখা ডাঁট দলিতেছে ডিমের মতন বকে তার; কোনো পাখি দেখি নাই তাহার সন্ধ্যার নীড়ে চোখ মেলে বসেছে এমন এমন কোমল সিথব নিরিবিলি পালকের রংপো দিয়ে বনের অাঁধার বনেছিল; দরে বনো মোরগের বকে তাই এই রাতে জেগেছে বিস্ময়— তাহার অধীর শব্দ শুনি আমি—সোনার তীরের মতো জলপায়রার বকে এসে এই জ্যোৎসনা ব্যথা দেয়—সহসা গভীর রাত ব্যস্ত যেন হয় চাঁদের মখের পরে অনেক মশার পাখা ছোট-ছোট পাখিদের মতো উড়িতেছে ---মিটি ব্যথা এই সব—জ্যোৎস্নার মাংস খাটে লয় ; শরের জঙ্গল নদী ছেড়ে দিযে বনো হাঁস উড়ে চলিতেছে ক্ৰমাগত চাঁদ থেকে আরো দরে চাঁদে-চাঁদে—কত হসি চাঁদ কত-কত। 為bf