পাতা:ধ্রুব চরিত্র.pdf/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৩ ] দ্বিতীয় অঙ্ক । প্রথম গর্তাঙ্ক । প্রয়াগ | সুরুচির শয়নাগার । ( সুৰুচি ও হেমন্তী আলীন । ) হেম । এমন সৰ্ব্বনেশে সপত্নী-প্রণয় ত কোথাও দেখিনে । যা হোক তোমাদের যেন ভারত ছাড়াই ঘটেছে, তা বলে কি একবার মনে বুঝে দেখে ন কার মনের কি ভাব । বল দেখি তুমি যেমন বড়রাণীকে আপনার বড় বোনের মত শ্রদ্ধা ভক্তি কর, তিনি কি তোমাকে তেমনি স্নেহ মমতা করেন ? সুরু। হেমন্তি, অমন কথা বলিয়নে, বড় দিদি আবার আমায় ভাল বাসেন না ! হেম । কেন, রাজার উপর সমান ভাগ ন বসিয়ে তোমাকে বেশি দিয়েছেন বলে কি ভালবাসার পরিচয় পেয়েছে ? তা নয়, তার মানে আছে। পুরুষের যুবতী স্ত্রী বড় আদরের তা বড় রাণী বিলক্ষণ জানেন ; যখন তোমার এ যৌবন বর্ষাকালের ভর নদীর মত টল মল করে উলে, রাজার মনও একেবারে উথলে পড়লে, বড়রাণী চতুর, বুঝলেন, তখন সপত্নী ভাব প্রকাশে আপনারই ক্ষতি, রাজার ভালবাসার স্রোত কিছুতেই নিবারণ হবার নয়, কোন রূপে বাধা দিলে র্তারই উপর রাজার মন ভেঙ্গে যাবে ; তখন আর কি করেন কাজে কাজেই রাজার মন রাখবার জন্যেই তোমাকে একটু একটু ভালবাসা দেখাতে লাগলেন। তা না হলে বলদেখি ভারতে এমন মেয়ে মানুষ কি আজো জন্মেছে যে, স্বামী সতীম্‌ গলায় গেঁথে দিলে, আবার সেই সতীন্‌ স্বামীর ভালবাসা হলে, সে কি সেই সতীম্‌কে যত্নের সহিত ভাল বাসে ঃ মনের সহিত আদর করে ? একটু ভাল করে বুঝে বল দেখি, সতীনের এমন সুখের অবস্থায় সে কি আছাদে ভাষতে থাকে না তার দেহ কালকূট বিষে জর জর হয়,