পাতা:ধ্রুব চরিত্র.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२९ ।। ধ্রুবচরিত্র । গঙ্গ। বাবা ঠাগুর, ঐ গাছের আড়ালে ওটা কি লড়ে গো, কিছু দেখতে পাচ্ছেন ? - ব্রা । তাইতরে । রাম ! রাম ! - গঙ্গা । বাবা গো ! ঘাড় ভাঙ্গ লে গো ! উভয়ের প্রস্থান । রস। ( স্বগত ) আপদ গেল ! বাচুলেম্‌ ! ( বেদীতে উপবেশন )—ত এই ত সন্ধিক্ষণ উপস্থিত হয়েছে, রসময়-হৃদয়-বিলাসিনী চারুহাসিনী প্রাণের হেমন্তী কই ? প্রিয়ে, ত্বরায় এসে এ তৃষিত চাতকের তৃষ্ণ নিবারণ করে ? ( সৰ্ম্মখে নিরীক্ষণ করিয়া ) এ আবার কি ! সৰ্ব্বনাশ ! বড়রাণী যে ! একেবারে সম্মখে এসে পড়েছেন, আর ত পালাবার উপায় নাই! কি করি ! ( সুনীতির পরিচ্ছদে হেমন্তীর প্রবেশ । ) ( প্রকাশে ) দেবি, আমি এখানে কারু জন্যে বসে নাই। (উৰ্থান) নিদ্রা হয় নাই বলে একটু এই বাগানে বেড়াচ্ছি। হেম । রসময়, এ রাত্রে এই তোমার বেড়াবার স্থানই বটে ! তুমি কি জান না যে এ অন্তঃপুরের বাগান। তোমার ভাবে আর কথায় বোধ হচ্ছে তুমি অন্তঃপুরস্থ কোন মহিলার প্রতি আসক্ত হয়ে সময়ে সঙ্কেত-স্থানে অপেক্ষা করছে । আমি জানি তুমি হেমন্তীকে কুপথগামিনী করতে যত্ন করে থাক। আজ কি সেই অকাৰ্য্য সাধন কর বার জন্যে এখানে এসেছে ? রস । (স্বগত) সৰ্ব্বনাশ ! সে কথাও জানেন ! ( প্রকাশে ) না দেবি, তা কিছুই নয়! আমি এখনি এখান হতে প্রস্থান করি। (গমনোদ্যত। ) হেম। রসময়, তা হবে না। বিধাতা অনুকূল হয়ে এ নির্জন স্থানে এমন সময় আজ আমাদের মিলন করে দিয়েছেন । রস। দেবি, আর ছলনা করে এ অধম ক্ষুদ্র গ্রাণীকে দণ্ডনীয় করবেন না, আমি এখনি যাচ্ছি ।