পাতা:ধ্রুব চরিত্র.pdf/৩০

ধ্রুবচরিত্র । శి\! হেম । তা কখন হবে না । রসময়, আমার নিতান্ত চপলতায় মৃণা করে না । আমি বামাকুল-স্বভাব-বিরুদ্ধ প্রবৃত্তির বশবৰ্ত্তিনী হয়ে স্বমুখে তোমার নিকট মনের কথা প্রকাশ করছি। আমি যথার্থই তোমার প্রতি একান্ত অনুরক্ত। আমি বিহু-বরণের সময় তোমাকে আর হেমন্তীকে এ উদ্যানে মন্ত্রণ করতে দেখেছিলাম, আমি হেমন্তীকে পূজার ঘরে আবদ্ধ করে রেখে তার পরিবর্তে আমিই তোমার অনুসন্ধানে এসেছি । ( রসময়ের হস্ত ধরিয়া বেদীতে উপবেশন । ) রস। দেবি, আপনি পতিপরায়ণী সতী, সসাগর ধরণীপতি উত্তানপাদের রাজমহিষী, লোকাভিরাম রাজকুমার ধ্রুবের জননী, আপ্‌নার এ অযোগ্য নীচ প্রবৃত্তি কেন ? আমি ক্ষুদ্রজীব, রাজসংসারের নিতান্ত অনুগত আশ্রিত দাস, আমাকে ক্ষমা করুন ? হেম । ( রোরুদ্যমান স্বরে ) রসময়, অবলার প্রতি কি তোমার এই ব্যবহার এতই কি লাঞ্ছনা করতে হয় ? বলদেখি, আজ অবধি উপদেশ-বাক্যে আমার মত কোন্‌ স্ত্রী অভিলষিত লাভে নিবৃত্ত হয়েছে ? আমি কি পূৰ্ব্বে শতসহস্রবার মনের মধ্যে এ স্কৃণিত কাৰ্য্যের আন্দোলন করি নি ? মনোবৃত্তি শাসনে আমি কি একান্ত যত্নবর্তী হই নি ? আমার মনে কি মৃণ। ভয় অহঙ্কার কিছুই নাই ? কিন্তু আমি কিছুতেই কদভিলাষ শাসনে কৃতকাৰ্য্য হতে পার লেম না, অবশেষে লজ্জ ধৈর্য্য মান সকলই জলাঞ্জলি দিয়ে তোমার সন্ম খে এসেছি, এখন আমার প্রতি তোমার উপদেশ-বাক্য বৃথা, তুমি আমাকে রক্ষা করে ? - রস দেবি, কমল অভ্যন্তরে যে এমন কদৰ্য্য কীট বসতি করে ত৷ আমি স্বপ্নেও জামৃতেমন । কিন্তু আপুনি হাজার বলুন আমি রাজান্নে প্রতিপালিত হয়ে, এমন কৃতন্ত্রের কৰ্ম্ম কখনই করতে পার বে। না । আমি ব্রাহ্মণ, আমি বরং অপুনার চরণ ধরে বলছি আপুনি আমাকে ক্ষমা করুন ! হেম । (হস্ত ধরিয়া ) রসময়, আমি তোমায় বলুছি তোমার