পাতা:ধ্রুব চরিত্র.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধ্রুবচরিত্র । &Nう সম্বোধন করিয়া) ধ্রুবরে, এ কঠোর তপস্য তুই আর কত কাল কবি ! নিদাঘের প্রখর রবিকিরণ, বর্ষার মুষল ধারা, শরতের দারুণ শিশির, আর হেমন্তের দুর্জয় শীত আর কত কালठूइँ সন্থ কবি! বাছ, অনাহারে অহোরাত্র এ কঠোর তপস্যায় তোর শরীরের কি দশ হয়েছে ! ওয়ে, তোর শীর্ণ শরীর আর মলিন মুখ দেখলে আমার এক দণ্ড যে আর বঁাচতে ইচ্ছা হয় না! বল দেখিরে, মার প্রাণে আর কতই সহ হয় । বাছ, এ যদি তোর তপস্যার সময় হতো, তা হলে দয়াবানু ভগবান তোর এ কঠোরে অবশ্যই এতদিন সদয় হতেন ! ওরে অনিয়মিত ব্রত যজ্ঞ তিনি কখনই সফল করেন ন৷ -ধ্ৰুব, তবে কি তুমি দেহ নষ্ট কর বার জন্যে এই উপায় অবলম্বন করেছে? ওরে বিমাতার অনুরোধে আর অতিমানের পরতন্ত্র হয়ে শেষে মাকে ত্যাগ করাই কি তোর শ্রেয়ঃ হলো । বাছারে, পুত্রের অমঙ্গল হবে ম৷ যদি এ জেনেও জীবন ধারণে সক্ষম হয় তবে বিধাতার অপত্য স্নেহের সৃষ্টি নিতান্ত বৃথায় হবে । বাছ আজ যদি তুমি এ তপস্য পরিত্যাগ না করো, ম বলে যদি এ অভাগিনীর কোলে না এসে, তবে তোমার জননী আজ তোমার সম্মুখে স্বহস্তে প্রাণ নষ্ট করবে। ( রেদিন)–ওহ! বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ড যে এখনি ঘোর অন্ধকারে আচ্ছন্ন হলো ! ( নেপথ্যে ভীষণ শব্দে ) ওহঃ এ নিবীড় বনমধ্যে জন্তুদের কি ভয়ানক চীৎকার। ( পুনরায় শব্দ) ওহঃ, আহকের শব্দ যেন আরো ভীষণ । এমন চীৎকার ত একদিনও শুনি নাই ! ( নেপথ্যে দেখিয়া ভয়াকুল স্বরে ) ধ্রুবরে, আজ আর রক্ষা নাই! সহস্ৰ সহস্র ব্যাঘ্র এককালে মুখবাদন করে আসছে! ওরে সর্বনাশ হলো যে! বিকটাকার কত শত রাক্ষস আজু ধাবিত হয়ে আয়ুছে ! ( নেপথ্যে, কেটেফেল, কেটেফেল, গ্রাস কর, গ্রাস কর।) চলরে ধ্রুব, আর তপস্যায় কাজ নাই, শীঘ্ৰ চল, সৰ্ব্বনাশ হলো । ( বল পূর্বক ধ্রুবকে ক্রোড়ে ধারণ । ) উভয়ের প্রস্থান ।