পাতা:ধ্রুব চরিত্র.pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* a ধ্রুবচরিত্র t মুনী। সখি, তোমার মঙ্গল কামনাই সফল হোক! (কিঞ্চিৎগমন । ) উত্ত। হা কুলকলঙ্কিনি ! হা পতিযাতিনি ভূজঙ্গি এখন একবার এসে তোর ষড়যন্ত্রে অন্তিম ফল স্বচক্ষে দেখে যt ? হা প্রাণ ! আর কেন পিঞ্চরস্থ হয়ে লজ্জার যন্ত্রণ ভোগ করছে ? এ স্থগিত দেহ পরিত্যাগ করে এখনি বহির্গত হও ? হা ! হা !— - - সুনী। ঐ শুন, সখি, আমার মত দুঃখী কে বুঝি জীবনের সকল আশাভরসা বিসৰ্জ্জম দিয়ে মৃত্যুকে আহবান করছে। মুনি । ই সখি, বুকে নৈরাশ্যের শেলাঘাত হলে যে শব্দ হয় এ সেই শব্দ বটে ! কিন্তু বিলাপে স্ত্রীকে তিরস্কার করছে । সুনী। হতেও পারে, এ অধমকুলে কত কণ্টকময়ী বিষলতা জন্মগ্রহণ করে যে, যার বেস্টনে পুরুষের সর্বাঙ্গবিদীর্ণ হয়ে শেষে প্রাণ সংশয় হয় । মুনি। (নিকটে আসিয়া ) সখি, একটু এই গাছের আড়ালে এসে ! (বৃক্ষান্তরালে গমন ও দেখিয়া ) এত কোন সামান্য মানুষ নয় । উত্ত। আর কেন ! এই ত নিশাদেীও এ পাপীকে আশ্রয় প্রদানে পরা মুখ হলেন । অনতিদূরে পথিকের কথোপকথনও শ্রবণগোচর হচ্ছে ; এখনি দিবাকর উদিত হলে মানুষের চক্ষু এ পাময়ের প্রতি নিপতিত হবে ? লজ্জা, এ অবস্থায় আর কি ধৈৰ্য্য অবলম্বনে প্রবৃত্তি হয় ?—অসি! পরম বন্ধুর কার্য্য করে ? তুমি চিরদিন কুকার্থের দণ্ড স্বরূপ আমার হস্তে অবস্থিতি করতে, এসে আস্থ এই মরাধনের গলদেশে আরোহণ করে স্ত্রৈণতার সমূচিত দণ্ড দাও ? ( দণ্ডায়মান ও অসিগ্রহণ ! ) মুনি। সখি, একটা মহাপ্রাণীর আত্মহত্য দেখবো, কি বল ? : উত্ত। ( প্রকৃতির নিস্তব্ধভাব দর্শনে ) আহা! সকলি নিস্তব্ধ, কেহই জাগ্রত নাই! কেনই বা থাকুবে ? এমন দুরাত্ম প্রাণত্যাগ করছে তা আবার কে দেখবে? আমি অকৃতপ্রায়শ্চিন্তু, নিম্পাপিজীব কেন আমার মুখদর্শন কয় বে, কেন আমার সঙ্গে আলাপন করবে, কেনই বা আমার কথায় কর্ণপাত করে, যাহোকু আর কেন, বিলম্ব করি!—উষাদেবি, দিগন্তব্যাপী পবনদেব, বৃক্ষলতাদি, তোমরাই