পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিমলা । ৯৭ এই ছিল যে ইনি আমার স্বামী, কিছু দিন একত্র সহবাসে আমার স্বভাব চরিত্র অবগত হইবেন, তখন আর আমার কোন ক্লেশ থাকিবে না, কিন্তু ভাবিলাম এক ঘটিল আর ; ঠাকুৰুণটর নিয়ত কাণ ভাঙ্গানিতে আমার স্বামী আমার উপর অত্যন্ত অশ্রদ্ধা প্রকাশ করিতেন, আবার একত্রে শয়ন করাও বন্দ হলো, আমার যে দুঃখ সেই দুঃখ, কিন্তু তখনও ভাবিতাম আবার দিন পাইব, কিন্তু দিনে দিনে বাঘিনী শাশুড়ীরই মনস্কামনা পূর্ণ হইল, আধিপত্যের সীমা নাই, ক্রমে আমাকে ঠোনাটা ঠানাটা, গুতোটা গাতাটা, চড়টা চাপড়টা মারাও আরম্ভ করিলেন । এক দিন আপন মনে আমাকে কত মত কটু কাটব্য বলিতেছেন, আমি শুনিয়া বলিলাম “বাপরে আর সয়না” এই কথা শুনিবা মাত্র মাঠাকুরাণী, তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে, তবে তোমার সমান উওরও আরম্ভ হলো" বলিয়াই একখানা চেলা কাট ফেলিয়া আমাকে নির্দয় আঘাত করিলেন । আমি সেই কঠিন আঘাতের বেদনায় রোদন করিতে করিতে কিঞ্চিৎ দূরে গিয়া বসিয়া আছি এমন সময় স্বামী অন্তঃপুরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন, উছার মুখ দেখিয়া আমার মনোবেদনার সঙ্গে সকল বেদনাই দূরে গেল, ভয়ও থাকিল না, ভাবিলাম ই হার অসাক্ষাতেই পীড়ন করে, সাক্ষাতে আর ভয় নাই, কিন্তু কি আশ্চৰ্য্য এতেও মন উঠলে ন৷ অতঃপর মেয়েটার দ্বারা মালিশ করান হইল, সে আমার স্বামীর সম্মুখে কাদো কাদো মুখে বলিল দাদা, ৰোঁ আজি আমায় বাপান্ত কল্পে” । আমি শুনেই আবাক, আমায় স্বামীর হাতে একটা লোহার সিক ছিল, তিনি ঐ কথা শুনিয়াই সরোৰে আমার সম্মুখে আসিয়াই “ যে জিহায় তুমি এত বড় > No.