পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯৮ নটনন্দিনী । কথা বলিলে সেই জিহব কে উচিত শাস্ত দিই' বলিয়া অামার মুখে খোচা মারিলেন, আমি দেখিয়া বিমুখ হইলাম তথাপি ব্যর্থ হইলনা, খোচাটা ভ্রর উপর লাগিল, রক্তধারে চক্ষু মুদিত হইয়া আসিল, কান্নার অবকাশ নাই, কেবল এই মাত্র বলিলাম “তুমিও আমাকে বিনা অপরাধে এমন কঠিন আঘাত করিলে, তোমারও কি এই উচিত হইল ? তবে আর যুড়াইবার স্থান কোথায়, আমি কেবল তোমারি মুখ চাহিয়া প্রাণ ধারণ করি , যদি আমার কপাল গুণে তোমার মনে ও এত ঘৃণা হইয়াছে তবে আর আমার প্রাণ ধারণের অাশা কেন ? বার বার জ্বালাতন করা অপেক্ষ একবারেই যা হয় কর, তোমরাও নিষ্কণ্টক হও আমিও শীতল হই । সেই পামও “হারে হারাম জাদি তোমার নস্টামী আমি সবই জানি,” এই মাত্র উত্তর করিয়া তথা হইতে চলিয়া গেল। আমি সেই অবস্থায় ক্ষণেক রোদন করিলাম, পরে আপনার সেবা ও সান্তন আপনিই করিয়া সুস্থ হইলাম। একবার মনে করিলাম আত্মঘাতী হই, আবার ভাবিলাম তাছাই বা কেন ? যাহাতে জীবিত থাকি অথচ এ যন্ত্রণা হইতে মুক্ত হই এমত কোন উপায় করা উচিত, তবে কি বাপের বাড়ীই যাওয়া ভাল ? তাহা নহে, এ অবস্থায় সেখানেও মান নাই, আত্মীয় স্থলে মান অভিমান বুঝিতে হয়। তবে কি করি ? কোন অপর গৃহস্থের আশ্রমে দাসী বৃত্তি করিব, সেই উত্তম, কিন্তু পাছে ধৰ্ম্মনষ্ট হয় এই ভয়ে কিছুতেই ভরসা হয় না। মনে করি যদি আর আমাকে কিছু না বলে, এক বেলা এক মুটে নিরাপদে খেতে পাই তবে এরূপেও কিছু দিন কাটাই । যাহাই হউক যখন স্বামী অামার বর্তমান আছেন কখনও না কখন যদি র্তাহার দয়া হয় তবেই সুখী হইব ; কিন্তু দেখিলাম দিন দিন যাতনা