পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিমল | ss বৃদ্ধিই হইতে লাগিল, কাহারও মনে দয়ার লেশ দেখিতে পাইলাম না । এইরূপ কিছু দিন গত হইল, প্রতিবাসী একটা শূদ্রের মেয়ে কখন কখন আমার কাছে অগলিত, তাহার নাম কি জানি না, সকলে তাহাকে বৈকুণ্ঠের মা বলিয়া থাকে। সময়ে সময়ে গোপনে অর্থাৎ আমার শাশুড়ী কি ননদের অনুপস্থিতিড়ে সে আমার প্রতি প্রকারে ভাল বাসা প্রকাশ করিত । আমি যখন দেখিলাম যে সংসারের নিষ্ঠুরতা আর কিছুতেই সহ্য হয় না, তখন সেই মাগীকে বলিলাম “বাছা তুমি যদি আমার প্রাণ বাচাও তবেই বাচি” সে উত্তর করিল “কেন মা কি কন্তে হবে বলে ? বীপের বাড়ী যাবে’ ; আমি বলিলাম “ন আত্মীয় স্থলে আর যাইব না, যদি বিদেশে কোন ভদ্রলোকের বাড়ীতে দাসীপনা করিতে হয় সেও ভাল, তবু আর আপনার লোকের মুখ দেখি এমন ইচ্ছা নাই, আর আমার আপনার লোকই বা কে আছে ? আমার দুঃখে দুঃখী হইবার কেহ থাকিলে এত কেশ কেনই ব৷ ভোগ করিতে হইবে" এই কথা বলিতে বলিতে আমার চক্ষু হইতে অবিশ্রাস্ত ধারা বহিতে লাগিল, বৈকুণ্ঠের মা ও আমার কাম৷ দেখে কান্না যুড়ে দিলে, কিন্তু এখন বোধ হয় তাহার সেটা মায়া কান্না, মনের সহিত নয় ; পরে “হ হতভাগীর লি ? এমন কপাল ও করেছিলি, কেঁদে কেঁদে জন্মটা গেল বলিয়া আপনার চক্ষুর জল নিবারণ করিয়া যত্নের সহিত আমার ও চক্ষু এবং মুখ মুছিয়া দিল । ঘাছা হউক আমি তাহাকেই তখন আমার পরম মুহৃদ জ্ঞান করিলাম, তাহার ছুটী হাত ধরিয়া বলিলাম “আমার আর কেহই নাই, মা বাপ, ভাই, ভগ্নী, সকলি তুমি, অতএব তুমি ভিন্ন আর