পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিমল । S • S. তখন বৈকুণ্ঠের মা কোথায় গিয়াছিল জানি না, সন্ধ্যার সময়ে একবারমাত্র আমাদিগের বাড়ীতে আসিয়া সঙ্কেতে আমাকে এই কথা বলিয়া চলিয়া গেল যে “সব ঠিক, আমি কানাচে ।” আমি তদবধি কেবল সুযোগের অনুসন্ধানে রছিলাম, রাত্র এক প্রহর অতীত হইল, সকলে অণহারাদি করিয়া শয়ন করিলেন, আমিও অন্দর মহলের দ্বার খুলিয়া বাহিরে আসিয়াই বৈকুণ্ঠের মাকে দেখিতে পাইলাম এবং তাছার পশ্চাতে পশ্চাতে গমন করিতে লাগিলাম। যে পথে গেলাম বোধ হইল সে পথ নহে, সেট। নির্জন বাগান, সেই বাগানের কতক দূর গিয়া বৈকুণ্ঠের মা বলিল * বাছ রাত্রি কাল, দুটাই মেয়ে মানুষ, দেখলে পাছে কেউ ধরে, তার চেয়ে তুমি একটু বোসো, আমি এক খান পালকী ডেকে আনি !” আমি তখন অতিশয় দুর্বল, চলৎশক্তি প্রায় ছিল না, কাযে কাষেই তাছার মতে মত দিলাম, সে আমার নিকট হইতে চলিয়া গেল । সেই নির্জন বনে আমি একাকী কত মত ভাবিতে লাগিলাম, এমন সময় পালকী সঙ্গে বৈকুণ্ঠের মা আসিয়া উপস্থিত; তখন দুই জনে পালকীতে প্রবেশ করিলাম, তার পর আর কিছুই দেখি নাই। অনেকক্ষণ পরে যে স্থানে যাইবার তথায় পৌছিলাম, যে বাড়ীতে গেলাম সে একটা প্রকৃত অট্টালিক, বোধ হইল কোন ধনবান লোকের বাড়ী হইবে, একটী স্ত্রীলোক আসিয়া আমাকে যথেষ্ট সমাদর করিয়া ঘরে লইয়া গেলেন, বৈকুণ্ঠের মাও সেই অবসরে কোথায় গেল আর তাছাকে দেখিতে পাইলাম না । যে ঘরে প্রবেশ করিলাম তাছার সজ্জা দেখিয়া আমি চমৎকৃত হইলাম। উত্তম বিছানায় শয়ন করিয়া রছিলাম, কিন্তু নিদ্রা ছইল না, আকাশ পাতাল ভাবিতে ভাবিতে রাত্রি প্রভাত