পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯২ নটনদিনী । হইল, আমি উঠিয়া দেখিলাম উপর নীচে যতগুলি ঘর সকলগুলিই কিছু কিছু ইতর বিশেষে উত্তম রূপে সাজান, বাড়ীতে কেবল কয়েকজন স্ত্রীলোক, সকলেরই পৃথক পৃথক ব্যবহার। এক বাড়ীতে পাঁচ ছয়টা ছাড়া, আমি তখন কিছুই জানি না, ইছারও কারণ অবধারণ করিতে পারিতেছি না, কিন্তু মনে মনে সন্দেহ বাড়িতে লাগিল, একবার মনে করিলাম বুঝি এদেশের এই পদ্ধতি; আবার ভাবিলাম যদি তাছাই হয় তবে বাড়ীতে একজনও পুৰুষ দেখিতে পাই না কেন ? স্ত্রীলোকগুলিরও আচার ব্যবহার ভাব ভঙ্গি ভাল বোধ হইতেছে না, মনের ভগব প্রকাশ করিবার উপায় নাই, কি বলিয়াই বা কাহাকে জিজ্ঞাসা করি, মন কিছুতে স্থির হয় না। কিঞ্চিৎ পরে স্নান ভোজন করিলাম, বেলাও শেষ হইল, তখন দেখি বাটীর সকলেই দিব্য দিব্য বস্ত্ৰ অলঙ্কারে ভূষিতা হইল দুই একটী পুৰুষেরও গমনাগমন হইতে লাগিল, এবং নানাবিধ গান বাদ্য ও হাস্য পরিহাস আরম্ভ হইল, তখন মনে আর সন্দেহ রছিল না, স্পষ্টই বুঝিলাম সেট বেশ্বালয় ; ভয়ে প্রাণ আকুল হইয়া উঠিল, নির্জনে গিয়া রোদন করিতে লাগিলাম, রাত্রে আমি যাহার ঘরে শয়ন করিয়াছিলাম তাছার নাম কৃষ্ণপ্রিয়া, তিনি আমার নিকট আসিয়া আমাকে সান্তুনা করিতে লাগিলেন, আমি তাহার কথায় আরও ব্যাকুল হইলাম। “বৈকুণ্ঠের মা কোথায় গেল ' এই কথা বলিবা মাত্র সে রায়বাঘিনীর মত গৰ্জ্জন করিয়া উঠিল, আমার মুখের উপরে হাত নাড়া দিয়া বলিতে লাগিল “ আছা ! নেকী লো! ওর বৈকুণ্ঠের মা যেন ওঁর জন্যে ফানাচে বসে রয়েছে আর কি ? এই গুণে তুমি পেটের ভাতের আরীজ, দেনায় লণ্ড ভণ্ড, শ্ৰী নাই, ছাদ