পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So B নটনন্দিনী । যে লজ্জা রক্ষা হয়, এক বার কেউ দেখলে কি ? এখন সে ভাল । বাসার আশা ছাড়, আপনার শরীরের যত্ন কর, লোকে তোমায় ভাল বামুক, হাতে দুপয়সা সঞ্চয় হোক তা হলে পৃথিবী শুদ্ধ লোকে আপনার হবে, তা ভিন্ন এ পথে কেউ কারে নয়” । আমি এই সকল কথা শুনিয়া অবাকৃ হইলাম, যে কোন কথা বলিতে গেলাম তাহ শুনিল না, আপনার কথাই পাচ ক হন, । কেবল আমি যখন জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম যে বৈকুণ্ঠের মা কতটাকা লইয়া গেল আর কিসের টাকা, তখন এইমাত্র বলিল “কেন তোমার দেনার টাকা; যেখান থেকে এলে, সেখানকার দেন। কে দেবে ? কত টাকা বোল চো যে ? তুমি কি জান না, বসে বসে একটা কঁাড়ি টাকা দেনা করেছিলে, বাবা একটা মেয়ে মানুষের দুশো টাকা দেন। গো !" দেনার কথায় জামার অতিশয় বিস্ময় বোধ হইল, বলিলাম “ দোহাই ধৰ্ম্মের আমি দেন পাওনার কিছুই জানি না, গত রাত্রে বৈকুণ্ঠের মা আমাকে আমার শ্বশুরের বাটী হইতে আনিয়াছে, আমি জন্মাবধি অদ্য কোথাও যাই নাই, স্বামী ভিন্ন কোন পুৰুষের মুখ দেখি নাই।” সে কথা কে হঠাৎ বিশ্বাস করে ? অনেক কাকুতি মিনতিতে বুঝি কিছু দয়ার উদয় হইল, তখন সে “ত বাছ আর সে শোক করার ফল কি ? কালই ছোক অণর দশ দিন পরেই হোক যখন এ রাস্তায় দাড়ান হয়েছে, তখন সবই করতে হবে বটে, আজকার কালে মানুষ চেনা বড় শক্ত, বৈকুণ্ঠের মা বুড়ো মাগী গা ! তিন কাল গেছে এক কালে ঠেকেছে সে কিনা এই কল্পে ! যাই হোকু আর কেঁদে কি হবে ? এখন আপনার চেষ্টা বেষ্ট করে যাতে দেন থেকে: মুক্ত হও তা কর” বলিয়া আমাকে সঙ্গে লইয়া আপনার ঘরে