পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭৬ নটনন্দিনী । মন সৰ্ব্বদা চঞ্চল, প্রায়ই নুতন নুতনে অধিক অনুরাগ ; এমন কি গভ-যৌবন ধৰ্ম্মপত্নীই বিষন্তুল্য হইয়া উঠে, উপপত্নীর ত কথাই নাই। এমনও ঘটনা বিস্তর হয়, কিছু দিন মুখস্বচ্ছদে বিলাস করিয়া মহিলাস্তুরে রত ছয়েন । স্ত্রীজাতি স্বভাবতঃ সরলা, এক বারে স্নেহশূন্ত হইতে পারে না ; যদি অনুরাগের অনুগত হইয়া সে সময়ে কোনপ্রকার ভাবভঙ্গী প্রকাশ করে, সেই যিনি প্রাণের অধিক স্বেছ করিতেন, তিনি মুক্ত কণ্ঠে এমন উত্তর করেন যে তাহা শুনিবামাত্র জীবিতাশা পরিত্যাগ করিতে ছয় ; ইহার উপমা অামাডেই স্পষ্ট প্রকাশ আছে। যেমন জলের লিখন পিটলীর আলিপনা। হলুদের রং কোথা থাকয়ে বলনা ॥ বালির বাদ খড়ো কুড়ে। এলে ঝড় গেলে উড়ে। পরপুৰুষের প্রণয়ও তেমনি । এই ব্যাধি-মণ্ডলী শরীরে যদি কোন পীড়া উপস্থিত হইল, তবেই স্নেহ, মমত, গ্ৰীতি, প্রণয়, সকলেরই সব একেবারেই দূরে গেল। এ পথে মুখ স্বচ্ছন্দের নামটাও নাই কেবল অমূল্য সতীত্ব রত্ন বিক্রয় করিয়া রাশি রাশি পাপ সঞ্চয় করা ; জীবন্মরণে নরক ভোগ ভিন্ন আর কিছুই লাভ দেখিতে *ोहेन । কিছু দিন পরে আমার একটী পুত্ৰ সন্তান হইল, সস্তানটর জাতকৰ্ম্ম সকল সময়ে সময়ে বিলক্ষণরূপে ব্যয় ভূষণ করিয়া সমঞ্জ করিলাম, কিন্তু কিছুতেই আমার মনে সুখের উদয় হইল না , বাল। কটকে কোলে করিতে গেলেই চক্ষের জলে ভাসিতাম মুখ দেখিলে কোথায় বুক পাচ ছাভ হইবে, না আমার বুক বিদীঃ