পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मठेनमिनैौ । بوه ذ যে দিন এলেন সে দিন কিছুই নয়, পরদিন লোক পাঠাইলাম, তিনি আমার প্রেরিত লোকের সঙ্গে অপলাপও করিলেন না ; পরে সুযোগ মতে স্বয়ং সাক্ষাৎ করাতে এমনি উক্তি করিলেন, যে অতিবড় শক্রকেও সম্মুখে সেরূপ কথা কেহ বলিতে পারে না । সে কথায় কত ব্যথা জন্মিল তাহা বলিতে পারি না, আত্মহত্যার চেষ্টা করিলাম, এ কষ্টের প্রাণ হঠাৎ বাহির হইবার নছে ; ভগবান ক্লেশের সঙ্গে সঙ্গে তাছা ভোগ করিবার নিমিত্ত আমাদিগের কতকগুলিকে স্বষ্টি করিয়াছেন অতএব আমরা যদি মরি তবে সেই ক্লেশ ভোগের জন্য আবার নুতন পাত্র স্বষ্টি করিতে হয় । তাছাও যাউক, সেই ছোড়া যে আমার ছেলে তাহার ব্যবহারে জ্ঞানশূন্ত হইয়াছি। একদিন বড় রাস্তার ধারে একখানি দোকানে দেখিলাম জন দুই ভদ্র লোকের সঙ্গে বসিয়া কি কথা বলিতেছে, আমি তাছার নিকট যাইয়া রোদন করিতে করিতে বলিলাম বাপ রে! অতুল ! তোর কি এই ধৰ্ম্মরে বাবা ! আমি তোর নিমিত্ৰ দিবারাত্র চক্ষের জলে ভাসি, বাবা তোর কি এক বারও দুঃখিনী মা বলিয়া মনে পড়ে না ! হ্যারে ? তুই না আমার পেটের সন্তান, মার মনে এত মনঃপীড়া দিতে কি তোর মনে পীড়া বোধ হয় না! ও ধন ! তুই যে আমার অঞ্চলের ধন, যে আমি তোকে পাঠশালায় পাঠাইয়া দিনের মধ্যে কত বার দেখিতে যাইতাম, ভিলাৰ্দ্ধ নিশ্চিন্তু থাকিতে পারিতাম না, তুই অনুদ্দেশ, ইহা আমার পক্ষে কত কষ্টের হইয়াছে বল দেখি ? বাপু ! আমাকে ক্ষমা দে ; ঘরের ছেলে ঘরে আসিয়া আমাকে সুস্থ কর । যখন এই সকল কথা বলিতেছি, বাছা তখন এক দৃষ্টে আমার মুখ পানে