পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృు नप्लेनमिमैो । “আমি অম্প বয়সেই মাতৃ পিত্রাদির স্বেছ কোষ হইতে অপস্থত হইয়া কিয়দিবস গার্হস্থ্য নিয়মে অতিবাহিত করণানন্তর, কোন গুহ্যতর কারণ বশ ভঃ ব্রহ্মচৰ্য্য অবলম্বন করিয়াছি । আৰ্য অভীষ্ট দেবের অনুগ্রহে আমি সদানন্দ সংজ্ঞায় সংজ্ঞিত । এই প্রথমাংশুম নামান্তরে পরিত্রগজ বিস্তৃত্যুস্ত হইয়াছে, অতএব পরিত্রজ্যাবস্থাই আমার অধিকাংশে অবলম্বনীয়, ইছাতে পরম পিতার রচনা নিপুণতার সাক্ষ অনেক প্রকারে লক্ষিত হয়। আমার বসতি স্থানের নিরূপণ নাই, মনুষ্য সমাগমোচিত সুগম দুৰ্গম অনেকানেক তীর্থ দর্শনে তৃপ্তিলাভ করিতেও ক্রটি করি নাই । আমি তীর্থ-পর্য্যটন ক্রমে কামাখ্যা ধামে গমন করিয়াছিলাম, তথায় ত্রিশূলপাণির ত্রিশূল-ভ্রষ্ট দেবী দাক্ষায়ণী প্রতিমার একপঞ্চাশত খণ্ডের মধ্যে, খগুৈক নিপতনে, সেই পুণ্য স্থান প্রধান পীঠস্থান রূপে প্রসিদ্ধ মূৰ্ত্তিমতী ভগবতী হৈমবতী জাগ্রতা , এবং মন্ত্রবিদ্যার বাহুল্য ব্যবহার । আমি বিদ্যা বিনোদের কিয়দংশ শিক্ষা করিতে ঔৎসুক্য প্রকাশ করিলাম, কিন্তু খলতাধীন কেহই আমার মনস্কাম পূর্ণ করিতে সম্মত হইল না, পরিশেষে এক প্রবৃদ্ধের উপদেশানুসারে কামরূপার মন্দিরে সঙ্গোপনে যামিনীতে কাত্যায়নীর উপাসনায় প্রবৃত্ত হইলাম। এইরূপে তিন মাস গত, একদা অমাযুক্ত অৰ্দ্ধরাত্রে প্রত্যাদেশ শ্রবণ করিলাম “বৎস সদানন্দ ! তোমার প্রতিজ্ঞায় এবং অচলা ভক্তিতে আমি সন্তুষ্ট হইলাম, এক্ষণে তোমার মনোভীষ্ট সিদ্ধির প্রসাদ প্রদান করিতেছি গ্রহণ কর ?” আমি মুদ্রিত নয়নে প্রসাদ গ্রহণেচ্ছায় হস্তদ্বয় ব্যাদান করিলাম, ভগবতী আমার বিবৃত হস্তে, কতকগুলি বিলুপত্ৰ