পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্রহ্মচারী। $'సి অনতিদীর্ঘ সিদ্ধ মন্ত্রকে চেতন করিতে বস্থায়াস গ্রহণ করিতে হয়, মাসাধিক কণল গুৰু শিষ্যে দিন যামিনী নিয়মনিষ্ঠ ও অনন্তচেষ্ট হইয়া জপ করিলে সিদ্ধমন্ত্র সচেতন হয়েন এবং অভিলষিত ফল প্রদান করেন ; এক্ষণে আমিও ব্যাপক কাল এস্থানে অবস্থিতি করি এমন সময় নাই—অচিরে বারাণসী ধামে গমন করিয়া পূর্ণিমার চন্দ্র গ্রহণোপলক্ষে পুরশ্চরণ করিব মানস আছে, যাত্রাস্তুর ব্যতিরেকে তাদৃশ অনুষ্ঠানে কৃতকার্য হইবার সম্ভাবন নাই, অতএব ভৌতিক, অমোঘ এবং সপমন্ত্র সকল শিক্ষা কর ।” তদুত্তরে পুলিন বাবু কছিলেন, “প্রভো ! যে সপিণী ক্লত মুহুর্মুহুঃ দংশনে দিনযামিনী জর্জরিতাবস্থায় দিন পাত করিতেছি, অগ্রে তাহার সেই দংশন হইতে নিস্কৃতি পাইবার চেষ্টা না করিয়া অদ্য কোন সর্প বিদ্যা শিক্ষা করিব ?” এতচ্ছুরণে ব্রহ্মচারী উত্তর করিলেন “বৎস! এখন কোন রমণীরত্বের অঙ্গলালসায় মনাৰ্পণ করিয়া অভীষ্ট সাধনে বিফলতা হেতুক তোমার বিকলতা প্রাপ্তির কারণ হইয়াছে ? সেই ললামভূত ললিতা কি দেবী, দানবী, অপসরী কিম্বা কিন্নরা যে তাছার নিমিত্ত বশযোগ প্রয়োগ করিতে হইবে ? যদি মানবী হয়েন তবে তাছাকে অণয়ত্ত করিতে ব্যাকুলিত হুইবণর কারণ কি আছে ? তোমার মনোহারিণী বামনয়নীর নাম ধামাদি পরিচয় প্রদান কর আমি অবিলম্বে সেই চাৰুনয়নাকে তোমার পদানত করিয়া দিয়া তোমাকে পরিতৃপ্ত করিতেছি ; অপিচ যদি তোমার মনোময়ী মহিলাকে একবার দেখিতে পাই, এবং চকিতবৎ তাহার গাত্র স্পর্শ করিয়া অলক্ষিত রূপে কোন প্রক্রিয় বিধান করিলার উপায় থাকে